কলকাতা : কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর স্কুল খুললেও ওমিক্রনের কারণে বছরের শুরুতে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল। অনলাইনে যতই ক্লাস চলুক, এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা কী ভাবে এগোবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল শিক্ষা মহলে। এরই মধ্যে আবার গরমের ছুটি। ৪৫ দিনের ছুটির বিরোধিতাও করেছিল একাধিক সংগঠন। এবার ফের সেই ছুটির মেয়াদ বাড়ায় শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরও ১১ দিন ছুটি বেড়ে যাওয়ায় ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নতুন করে ছুটির মেয়াদ বাড়ায় একাধিক সমস্যা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
১. একাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩০ জুনের মধ্যে। বিপাকে পড়লেন সেই পরীক্ষার্থীরা। কবে পরীক্ষা হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
২. স্কুল খুললেই একাদশ শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেটা নিয়েও চিন্তা বাড়ল এবার।
৩. পাঠ্যক্রম শেষ হওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রায় ৫৬ দিন ছুটি থাকার পর কী ভাবে সিলেবাস শেষ করা হবে, তা বলতে পারছেন না শিক্ষকরাও।
৪. উৎসশ্রীর মাধ্যমে শিক্ষক যোগদান নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে শিক্ষক বদলির সুবিধা দেওয়া হয়।
৫. ফার্স্ট সামেটিভ পরীক্ষা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন পড়ুয়ারা।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, এটা সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্ত। তাঁর মতে, ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়া উচিত ছিল। তাঁর দাবি, লেখাপড়ার ব্যাপারে কোনও আগ্রহ নেই সরকারে, স্কুল বন্ধ রাখতে পারলেই তারা খুশি। নতুন করে ছুটির নির্দেশিকা এক সপ্তাহের জন্য এলে ভাল হত বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।