কলকাতা : সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে বারবার। কিছুদিন আগেই বিজেপি শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এবার রাজ্যে যখন আরও এক উপ নির্বাচনের প্রস্তুতি যখন শুরু হয়ে গিয়েছে, তারই মধ্যে বঙ্গ বিজেপির আরও এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে যে নেতা-নেত্রীরা প্রচার করবেন, সেই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, সমীক ভট্টাচার্যের মতো নেতা-নেত্রীরা। বাদ পড়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। জয়প্রকাশ দলবদল করার ঠিক আগেই তাঁকে লকেটের সঙ্গে এক বৈঠকে দেখা গিয়েছিল, তাই লকেটকে বাদ দেওয়ার বিষয়টা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নাম বাদ পড়া প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব আমাকে যোগ্য মনে করেছিল, তাই উত্তরাখণ্ডে ভোটের দায়িত্ব দিয়েছিল। আর বাংলার বিজেপি আমাকে হয়ত যোগ্য মনে করছে না। তাই প্রচারকদের তালিকায় রাখেনি। আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপ নির্বাচনে বিজেপির ৪০ জনের প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর, অভিনেতা রবি কিষানকেও আনা হচ্ছে প্রচারের জন্য। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও রয়েছেন সেই তালিকায়।
আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। প্রার্থী ঘোষণা করেছে সব দলই। কিন্তু গেরুয়া শিবির কেন প্রচারকের তালিকা থেকে বাংলার নেতাদেরই বাদ দিচ্ছেন, সেই প্রশ্নই সামনে আসছে।
সম্প্রতি লকেটকে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। দলের সাংগঠনিক বৈঠকে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ। শুধু তাই নয়, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি সহ বেশ কয়েকজন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে তাঁকে একই ঘরে বসে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। আর সেই বৈঠকের পরই দলত্যাগ করেছিলেন জয়প্রকাশ। তাই মনে করা হচ্ছে, লকেটের সঙ্গে বাংলার পদ্ম নেতাদের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: রাজ্য পুলিশে ভরসা নয়, বগটুই-কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
আরও পড়ুন : Kanthi Audio Clip Case: প্রাণনাশের আশঙ্কায় ভুগছেন মন্ত্রীর ছেলে, অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতেই দায়ের হল মামলা