কলকাতা: পরপর দু’দিন কলকাতায় উদ্ধার বিপুল পরিমান টাকা। বুধবার বালিগঞ্জের পর গতকালও গড়িয়াহাট (Gariahat Money Recovery) থেকে উদ্ধার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হয় প্রায় ১ কোটি টাকা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক দুলাল রায় ও মুকেশ সারস্বত নামে দুজনকে। জানা যাচ্ছে, গড়িয়াহাটে যে গাড়ি থেকে টাকার পাহাড় পাওয়া গিয়েছে, সেই গাড়ির মালিক নিশীথ রায়। তাঁকেও আটক করা হয়েছে। পেশায় ব্যবসায়ী নিশীথের বাড়ি বাঙ্গুর এভিনিউয়ে। তিনজনেই বর্তমানে লালবাজারে গোয়েন্দাদের চোখা চোখা প্রশ্নের মুখোমুখি।
আর ইতিমধ্যেই গড়িয়াহাটের টাকা উদ্ধারকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, অন্তত ২০টি শেল কোম্পানির ডিরেক্টর নিশীথ রায়। গড়িয়াহাটের কাছে এক শপিং মলে নিশীথের অফিস রয়েছে। শেয়ার কেনাবেচার ব্যবসাও আছে নিশীথের। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি শেল কোম্পানির আড়ালে হাওয়ালা কারবার চলছিল? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে শেল কোম্পানি শব্দবন্ধটির সঙ্গে বাংলার মানুষ যথেষ্টই পরিচিত। শেল কোম্পানি হল একটি সাইন বোর্ডের আড়ালে অন্য ধরনের ব্যবসা চলে। অর্থাৎ, এককথায় ভুয়ো কোম্পানি।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই শেল কোম্পানিগুলির আড়াল থেকেই হাওয়ালার কারবার চলত। এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে টাকা সরানো হত এবং তার আড়ালেই হাওয়ালার কারবার চলছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। সেই হাওয়ালার টাকাই গতকাল হাতবদল হচ্ছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। সল্টলেকের কোনও ব্যবসায়ীর থেকে নিশীথের অফিসে হাতবদল হয়ে ওই টাকা বড়বাজারের কোথাও যাচ্ছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দারা। সেই সব সূত্র ধরেই নিশীথকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ, গোয়েন্দারা মনে করছেন এই টাকার উৎস ও কোথায় যাচ্ছিল, সেই সম্পর্কিত বিষয়ে নিশীথের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে। এখন দেখার এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আগামী দিনে আরও কী কী নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে।