Recruitment Scam: বউয়ের নাম সামনে রেখেই যাবতীয় কার্যকলাপ! এভাবেই চলত শান্তনুর কারবার
ED Probe in Recruitment Scam: ২০১২ সালের টেটের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছিল শান্তনুর থেকে। কিন্তু সূত্রের খবর, শান্তনু জেরায় দাবি করেছেন, কেন সেই নথি তাঁর কাছে ছিল, তা মনে নেই শান্তনুর।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে শান্তনুর বিষয়ে। আদালতে ইডি দাবি করেছে, শান্তনুর ৫টি বেআইনি সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জেরায় শান্তনু দাবি করেছেন, তিনি কখনও তাপসকে দেখেননি। শান্তনুর যেসব জমি ও সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে, তাতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, ২০১৪ সালের টেটের দুর্নীতিতেও যুক্ত রয়েছে শান্তনু। ২০১২ সালের টেটের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছিল শান্তনুর থেকে। কিন্তু সূত্রের খবর, শান্তনু জেরায় দাবি করেছেন, কেন সেই নথি তাঁর কাছে ছিল, তা মনে নেই শান্তনুর।
উল্লেখ্য, সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শান্তনুরে আইফোন থেকেও মিলেছে অ্যাডমিট কার্ড। একাধিক কোম্পানির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যার মাধ্যমে মোটা টাকার ট্রানজাকশন হয়েছে। সেই কোম্পানির ডামি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানো হয়েছে বা সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো একাধিক প্রভাবশালীর সঙ্গেও শান্তনুর যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলিতে ৪১ ডেসিবেলের একটি ফার্ম হাউস মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে এবং সূত্রের খবর, সেটি ইভান কনট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের নামে রয়েছে। সূত্রের খবর, দুর্নীতির টাকা দিয়েই সেটি কেনা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে তদন্তকারী সংস্থা।
জানা যাচ্ছে, যে বেনামি সম্পত্তিগুলির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কর্মী ও পরিচিতদের নামে কিনেছিলেন। সূত্রের খবর, স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে সম্পত্তি কিনেছিলেন শান্তনু। স্ত্রীর নাম সামনে রেখেই যাবতীয় কার্যকলাপ পরিচালনা করতেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এদিন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হলে ইডির আইনজীবী তাঁর বিষয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। ইডির দাবি, পার্থর কায়দায় দুর্নীতি করেছে শান্তনু।