কলকাতা: জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট। খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নামেও দায়ের হয়েছে এফআইআর। এবার যাদবপুর কাণ্ডে উপাচার্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ক্ষমতা বলে তিনি আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও বটে। ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্ট তাঁর কাছে এসে গিয়েছে বলে খবর। সেই রিপোর্ট নিয়েই জরুরি বৈঠকও ডেকে ফেলেছেন বোস। সূত্রের খবর, তৈরি হয়েছে বিশেষ তদন্ত কমিটি। জরুরি ভিত্তিতে অন্য উপাচার্যদেরও ডেকেছেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই যাদবপুরকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা দায়ের হয়েছিল। তারই শুনানিতে আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। অন্যদিকে যাদবপুরের অচলাবস্থা কাটাতে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। যদিও আইনজীবী অর্ক নাগের করা ওই জনস্বার্থ মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ করতে চায়নি হাইকোর্ট। বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্পষ্ট বলেছিলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইন আছে। রাজ্য সরকারের নিজস্ব ক্ষমতা আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে। আমরা এখানে বসে নেই রাজ্যকে সেই ক্ষমতা মনে করানোর জন্য।”
এদিকে ব্রাত্য-ওমপ্রকাশদের নামে এফআইআর হওয়ার আগে রবিবার পর্যন্ত যাদবপুর-কাণ্ডে আটচল্লিশ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ফেলেছিল পুলিশ। একাধিক ছাত্রের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, শ্লীলতাহানি, মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছিল। শনিবার মন্ত্রীর গাড়ির তলায় চলে আসা আহত পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের বিরুদ্ধেও তিনটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। অন্যদিকে বর্তমানে আবার অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। এমতাবস্থায় রাজ্যপাল তথা আচার্য নতুন কোনও পদক্ষেপ করেন কিনা সেটাই দেখার।