কলকাতা:তিলোত্তমার ঘটনার প্রতিবাদে রাসবিহারী থেকে ‘দ্রোহের আলো’ কর্মসূচি হচ্ছে। সেখানেই অংশ নিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ একাধিক। এই কর্মসূচি থেকে তিলোত্তমার ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এত বড় গভীর চক্রান্ত করতে সময় লাগতে পারে। আশা করব সিবিআই সমাধান করবে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র আজ মুখ খুলেছে। আমি প্রথম দিন থেকে বলেছি এই ঘটনায় একা ও জড়িত নেই। সিবিআইকে সত্য সামনে আনতে হবেই।”
প্রসঙ্গত, সোমবার আদালতে তোলার পথে অভিযুক্ত দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে চিৎকার করে বলতে থাকেন অভিযুক্ত। এরপরই তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। ফের প্রশ্ন উঠতে থাকে তাহলে এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত রয়েছে?
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি নিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ বলেন, “আমরা আন্দোলনকারী। তদন্তকারী দল নয়। আমার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়েছিল। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত চলছে। যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এদিন ধৃত দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন, সিবিআই তদন্ত করুক। এই ঘটনার মোটিভ কী, সিবিআই দ্রুত তদন্ত করুক। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
প্রসঙ্গত এ দিন শুধু বিকাশ-কিঞ্জল নয়, পাশাপাশি শ্রীলেখা সোমবার বলেন, “প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে বা ফেসবুক খুললে দেখতে পাচ্ছি বাচ্চা মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ বা প্রশাসনের সেই অর্থে কোনও ভূমিকা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। যেটা ফালাকাটায় হয়েছে বা পটাশপুরে হয়েছে অভিযুক্তকে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা চলতে থাকবে। যতদিন না টনক নড়ে।” অভিনেত্রী এ দিন এও বলেন, “মা দুর্গা অসুর বধ করেছিলেন। আমাদেরও করতে হবে। পটাশপুর বা ফালাকাটায় যেমন মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন, তেমনই ময়দানে নামতে হবে। প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট ফেল করছে। কেন বলুন তো আমরা পথে নামছি না? দু’টো গান, আবৃতি করলে হবে না। কেন আমরা এই পোস্টার-হোডিংগুলো টেনে নামচ্ছি না। এই সময় ভ্যান্ডালিজমের প্রয়োজন। বিপ্লব করতে হলে অস্ত্র তুলতে হয়। জেলে গেলে আইনজীবীরা বাঁচিয়ে দেবেন।