SSC Chairman PC: নাম-রোল নম্বর ধরে ধরে তালিকা আদালতে জমা করা হয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্য বিতর্কের মাঝেই দাবি SSC চেয়ারম্যানের

SSC Chairman PC: "আমি গত দুদিন ধরে প্রচুর ফোন, মেসেজ পাচ্ছি। অচেনা নম্বর থেকেও ফোন মেসেজ পাচ্ছি। প্রত্যেকের একটাই জিজ্ঞাস্য, SSC কোনও তথ্য দেয়নি যোগ্য অযোগ্যদের ব্যাপারে। আমি সবাইকে জানিয়েছিলাম, আমরা হলফনামা জমা করেছিলাম।"

SSC Chairman PC:  নাম-রোল নম্বর ধরে ধরে তালিকা আদালতে জমা করা হয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্য বিতর্কের মাঝেই দাবি SSC চেয়ারম্যানের
'সংখ্যাতত্ত্ব' দিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2024 | 12:34 PM

কলকাতা:  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে রাতারাতি চাকরি হারিয়েছেন বাংলার ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। নথি অনুযায়ী, এই সর্বমোট চাকরিহারাদের মধ্যে পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠছিল, তাতে গোটা প্যানেল কেন বাতিল? সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট বলেছিল, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে বারবার চাওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকার ও SSC-র কাছে। এবার মুখ খুললেন SSC চেয়ারম্যান। SSC চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার দাবি করলে, অযোগ্যদের তালিকা নাম ও রোল নম্বর ধরে ধরে আগেই হলফনামা আকারে পেশ করা হয়েছিল। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে কী কী বললেন, দেখুন একনজরে…

KEY HIGHLIGHTS

  1. আমি গত দুদিন ধরে প্রচুর ফোন, মেসেজ পাচ্ছি। অচেনা নম্বর থেকেও ফোন মেসেজ পাচ্ছি। প্রত্যেকের একটাই জিজ্ঞাস্য, SSC কোনও তথ্য দেয়নি যোগ্য অযোগ্যদের ব্যাপারে। আমি সবাইকে জানিয়েছিলাম, আমরা হলফনামা জমা করেছিলাম। কোট আনকোট অযোগ্যদের তালিকা বলতে যা বোঝানো হচ্ছে, তা হলফনামা আকারে হাইকোর্টে পেশ করেছিলাম।
  2. এই মামলার শুনানি শুরু হয় ডিসেম্বর মাসে। ১৩ ডিসেম্বর হলফনামা দিই। আদালত একটি পয়েন্ট সম্পর্কে সন্তুষ্ট হয়নি। আবারও হলফনামা দিতে বলে। ১৮ ডিসেম্বর আরেকটি হলফনামা দিই। তাতে নবম দশমে ৭৭৫ জন সুপারশিপত্র রুল ১৭ প্রয়োগ করে প্রত্যাহার বা বাতিল করেছি, তার তালিকা দেওয়া হয়।
  3. আমাকে হাইকোর্টে তলব করা হয়। আমি হাইকোর্টে উপস্থিত হই। একটা স্ট্যাটেসটিক্যাল রিপোর্ট দিলে সুবিধা হয়। সেটা আদালতে জানাই। আদালত রিপোর্ট পেশ করার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ২০ ডিসেম্বর আমরা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট স্ট্যাটেসটিক্যাল রিপোর্ট জমা দিই।
  4. তার মধ্যে ওই যে ৭৭৫, তাঁরা তো রয়েছেই। ৩৩ জন, যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়নি, তাঁদের OMR ইস্যু রয়েছে, তাঁদের নাম রোল নম্বর সহ জমা করা হয়। এটা নবম দশমের ক্ষেত্রে।
  5. ১৮৩ জন নবম দশমে র্যাঙ্ক জাম্পিংয়ের ইস্যু ছিল। তাঁদের নাম রোল নম্বর সহ তালিকা দেওয়া হয়।
  6. একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে OMR ইস্যু, এরকম ৭৭১ জন চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন, তাদের নাম রোল নম্বর সহ তালিকা দেওয়া হয়। আর র্যাঙ্ক জাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে ৩৯ জনের নাম রোল নম্বর সহ তালিকা দেওয়া হয়।
  7. গ্রুপ সি ও ডি-এর এক্ষেত্রে আমি এই চেয়ারে বসার আগের বিপরীত ধর্মী হলফনামা গিয়েছিল এসএসসি-র তরফ থেকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যখন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই বিপরীতধর্মী হলফনামার ভিত্তিতে দিয়েছিলেন।
  8. OMR ইস্যু রয়েছে, সুপারিশপত্র যাই-ই নি, অথচ চাকরি করছেন, এরকম ৫৭ জন রয়েছেন। মামলার প্রেক্ষিতে এই তথ্য আমাদের কাছে আগে। গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রে এই সংখ্যা আমরা আদালতে জানাই।
  9. গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে ১৭৪১ OMR ইস্যু, যাঁদের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে, ১৭০ সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি, নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ১৯১১। এই তালিকা আমরা আদালতে জমা করি।
  10. প্রত্যেকেরই নিয়োগ আদালত বাতিল করে দিয়েছিল। গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রে ১০ মার্চ, ২০২৩, গ্রুপ ডি ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তারিখ আদালত চাকরি বাতিল করে। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি -র ক্ষেত্রে আমারে রুল ১৭-এর মতো সমগোত্রীয় রুল নেই বলে, আমরা সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে পারেনি। সেটা জেনে আদালত ওঁদের চাকরি বাতিল করে।
  11. ২০ তারিখ এই হলফনামা দেওয়ার পর আমার মনে হয়, আমার আরেকটু ক্ল্যারিফাই করার ব্যাপার রয়েছে। কিছু বাদ গিয়ে থাকতে পারে। তাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ৫ জানুয়ারি আমি আরেকটা হলফনামা দিই। তাতে র্যাঙ্ক জাম্পিংয়ের কথা বলেছিলাম, ১৮৩, (এটা আমাদের ডেটা বেস থেকে, সিবিআই-এর তদন্ত নয়) অতিরিক্ত দুটো নাম নবম দশমের ক্ষেত্রে অ্যাড করি। এটা আদালতে জানাই, যে ১৮৩ জনের কথা আগের হলফনামায় বলেছিলাম, তাদের মধ্যে অনেকের তো আমরা রুল ১৭ প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র বাতিল করেছিলাম, বাকি যে ৬১ জন রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এমন ৪০ জন রয়েছেন, তাঁদের নাম সিস্টেমে রয়ে গিয়েছে,  কিন্তু তাঁরা ইন্টারভিউ দেননি, তাঁদের নাম প্যানেল বা মেধাতালিকায় নেই। সেটাও বিস্তারিত জানাই। এটা নবম দশমের কথা।
  12. একাদশ দ্বাদশের ক্ষেত্রে আমরা ৩৯ জনের কথা বলেছিলাম, তাঁদের মধ্যে কতজন সিস্টেমে আছেন বা নেই, সেই তথ্য আমাদের কাছে নেই। চাকরি বাতিলের নির্দেশ না আসায়, কনসার্ন ডিআই-দের কাছ থেকে এই তথ্য নেওয়া হয়নি। ৩৯ জনের মধ্যে ১৮ জনের নাম মেধাতালিকায় নেই। এটা আমরা আদালতে জানাই।
  13. ৭৭১ একাদশ দ্বাদশে OMR ইস্যু। একজন ছিলেন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি পেয়েছেন, তাঁকে আমরা সুপারিশপত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখা যায়, তাঁরও OMRএ গন্ডগোল রয়েছে। আমরা রিভিউ পিটিশন ফাইল করি। সুপারিশপত্র দেওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত ছিল।
  14. বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনেকের চাকরি সরাসরি বাতিল হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ২১ সালে ডিআইদের চিঠিও পাঠাই। ২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৫০ জন গ্রুপ সি ও ৫৭৩ জন গ্রুপ ডি  নিয়োগ বাতিল হয়। এটাই ৫ জানুয়ারির হলফনামায় পেশ করি। তিনটি হলফনামায় গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ দ্বাদশের দুটি বড় ইস্যু র্যাঙ্ক জাম্প ও OMR-এ গন্ডগোলের বিষয়টি বিস্তারিত উল্লেখ করি।
  15. ২০ ডিসেম্বরের হলফনামার সঙ্গে আরও একটি বিষয় আমরা আলাদা ভাবে উল্লেখ করি আদালতে। কারণ এই বিষয়টি স্পেশ্যাল। ৩ অগাস্ট ২০২০ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, তখন ৮ ফেজ় কাউন্সিলিংয়ে কিছু প্রার্থীর রেকমেনডেশন দেওয়া হয়েছিল। যেটা নিয়ম বহির্ভূত। কারণ মেয়াদ উত্তীর্ণ। পরবর্তী কালে অনেকে মামলা করেন। SMS ডাকা হয়েছে। আমরা SMS পাইনি। এরকম একটি দুটো মামলা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সমাধান হয়। সেখানে একটা কম্প্রমাইজ করা হয়। মেধার ভিত্তিতে  নিয়োগ হয়েছে, সেখানে মেধাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আগেই SMS পেতে পারতেন। যে কোনও কারণেই পাননি। মেরিট কম্প্রমাইজ করা হয়নি। আমরা বিস্তারিত তালিকা তুলে দিই, সেখানে মেরিটে কিংবা র্যাঙ্ক জাম্পিংয়ে কোনও ইস্যু ছিল না। ডাকা হয়েছিল ১৮৪ জনকে, দিতে এসেছিল ১২৭ জন।  তাঁরা পেয়েছিলেন, মামলা করে ২ জন আরও চাকরি পেয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে। এটা নবম দশমের ক্ষেত্রে। স
  16. আমরা তথ্যগুলো স্পষ্ট দিয়েছি। আমরা তথ্য দিই নি, সেটা সঠিক নয়।