Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে? দেওয়া হয়ছিল ২০০০ করে? BJP নেতার মন্তব্য ভাইরাল
Sandeshkhali Viral Video:একসময় সন্দেশখালি ইস্যুতে যখন মাসের পর মাস তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজ্যনীতি। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টিং অপারেশনের এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কার্যত ঘৃতাহুতি পড়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সন্দেশখালি: ‘এসসি কমিশনের চেয়ারম্যান বুঝতে পারেননি…, দাদা এটা রাজনীতি যে কোনও উপায়ে জিততেই হবে…আমরা দুজনই লোক দিয়েছি…, মহিলাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে…’ ঠিক এই কথা গুলোই বলতে শোনা যাচ্ছে একটি ভিডিয়োতে। যিনি বলছেন তিনি বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নাকি নির্যাতন করাই হয়নি। ভিডিয়োয় তেমনটাই দাবি করছেন বিজেপি নেতা। একসময় সন্দেশখালি ইস্যুতে যখন মাসের পর মাস তোলপাড় হয়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজ্যনীতি। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টিং অপারেশনের এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কার্যত ঘৃতাহুতি পড়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। টুইটারে পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা।
ভাইরাল ভিডিয়োয় বলতে শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতাকে, মহিলাদের শিখিয়ে বুঝিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। কী বলতে হবে, কী করতে হবে সবটা শেখানো হয়। তার পরিবর্তে ২০০০ করে দেওয়া হয়েছে নাকি। রেখা পাত্রকে দিয়ে প্রথমে অভিযোগ করা হয়। পরে বাকিরা করে। ধর্ষণের অভিযোগ সাজিয়ে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরপর ফেসবুকে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লেখেন, “কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দল রাজ্যকে বদনাম করছে। ইতিহাসে এমন নজির নেই। বিজেপির বিসর্জন করবেন বাংলার মানুষ।”
অপরদিকে তৃণমূল সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়ো দেখে আমি বাকরুদ্ধ। বাংলা বিরোধী বিজেপি। তাদের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে যেভাবে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করেছে তা প্রত্যেকের দেখা উচিত।”
অপরদিকে, ভাইরাল ভিডিয়োয় যে সকল বিজেপি নেতারা ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন টিভি৯ বাংলাকে বললেন, “ফাঁসানো হচ্ছে। আমার সঙ্গে এমন কোনও কথা হয়নি। ওরা কারা আমি নিজেও জানি না। ন্যাজাটে আমার বাড়ি।” এ দিকে আবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “তদন্ত হোক। আমার মনে হয় না এমন কিছু হয়েছে। তৃণমূল প্রলোভিত করে এইসব করেছে কি না দেখছি। দল তদন্ত করবে না। পুলিশ তদন্ত করুক। সব বাইরে চলে আসবে। আমার মনে হয় সন্দেশখালি থেকে চোখ ঘোরাতেই কাউন্টার স্ট্রাটেজি তৃণমূল নিয়েছে।”