SSC Group D Recruitment: ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিলের মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 14, 2022 | 2:04 PM

SSC Group D Recruitment: প্যানেলের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার অনুসন্ধানে আরও চার মাস সময় চেয়েছিল কমিটি। তাতেও সম্মতি জানাল ডিভিশন বেঞ্চ।

SSC Group D Recruitment:  ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিলের মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ
এসএসসি গ্রুপ সি মামলায় নয়া মোড়। ফাইল ছবি।

Follow Us

কলকাতা: এসএসসি–তে গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিলের মামলায় রাজ্যের আপিল গ্রহণ করল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার শুনানি। পাশাপাশি এদিনই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতির সব মন্তব্য খারিজ করা হয়েছে। প্যানেলের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার অনুসন্ধানে আরও চার মাস সময় চেয়েছিল কমিটি। তাতেও সম্মতি জানাল ডিভিশন বেঞ্চ।

বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৫৭৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেয়। সেইসঙ্গে সিঙ্গল বেঞ্চ ওই ৫৭৩ জন এখনও পর্যন্ত যা বেতন পেয়েছেন তা ফেরত নেওয়ারও নির্দেশ দেয়।

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বাধীন বিচারবিভাগীয় কমিটি। আদালতের কাছে বিচার বিভাগীয় কমিটি আবেদন জানায়, আদালতের বেঁধে দেওয়া তদন্তের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বেশ কিছু অংশকে বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে সেই আর্জি গৃহীত হয়। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

মামলার প্রেক্ষাপট

২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। এরপরও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে এবং সেই নিয়োগ বাতিল প্যানেল থেকে হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এরমধ্যে ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা শোনা যায়। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কীভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ তালিকা থেকে নিয়োগ করা হল তার কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। কার সুপারিশে এই নিয়োগ হল তা জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।

গত বছর ৭ ডিসেম্বর নির্দেশ দেয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে কমিটি তৈরি করে তদন্ত এগোবে। সেইমতোই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি তৈরি হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চেই শুনানি ছিল। সেখানে জানানো হয়, বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটির আরও কিছুটা সময় লাগবে।

Next Article