কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিক নিয়ে জট কাটতেই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর। প্রত্যেক বছর এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ হবে বলে আশ্বাস দিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অন্যদিকে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়ে দিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে তারা।
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, “মহামান্য আদালতকে ধন্যবাদ জানাব। আমাদের নিয়োগ পদ্ধতির যে স্বচ্ছতা তা বজায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা একটা স্পষ্ট প্যানেল চাই। প্রত্যেক বছর আমরা চেষ্টা করব এসএসসি এবং প্রাইমারি টেট নিতে।” অন্যদিকে এদিনই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতে নিয়োগ নিয়ে স্থগিতাদেশ উঠতেই খুব তাড়াতাড়ি নিয়োগ প্রক্রিয়ার তোড়জোড় শুরু করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও শুরুর চেষ্টা করা হবে।
এসএসসির চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার জানান, সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই এই আয়োগ বিশ্বাসী। এদিন কমিশন দু’টি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে। এক, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে। দুই, শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের সামনে বহু চাকরি প্রার্থী বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। মূলত ২০১৬ সালে টেট পাশ করেও তালিকায় নাম নেই বলে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে। আরও পড়ুন: ‘বাবুলদা ডায়নামিক’, সুর বদলে দিলীপের দাবি, ‘বলতে চেয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রী হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন’
কমিশন জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে তারা। ৩১ জুলাইয়ের যে সময় সীমা আগেই আদালত বেঁধে দিয়েছিল, তারা আশা করছে সেই সময়ের মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ করতে। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে পাশ করা সত্ত্বেও যাঁদের নাম তালিকায় নেই, তাদের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ মেনেই এগোবে কমিশন। আগামী মঙ্গলবার জানানো হবে, কোন পদ্ধতিতে অভিযোগ জানানো যাবে কমিশনকে, কোন ইমেল আইডিতে অভিযোগ পাঠাতে হবে। একেবারে বিজ্ঞপ্তি আকারে তা প্রকাশ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২ সপ্তাহ এই অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া চলবে। কেউ চাইলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে আবেদনপত্র ও যথাযথ নথি দিয়েও অভিযোগ জানাতে পারেন। অর্থাৎ ভার্চুয়াল মোডের পাশাপাশি কেউ চাইলে সশরীরে কমিশনে গিয়েও অভিযোগ জানাতে পারেন।