কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এর আগে নবম-দশমের ক্ষেত্রে ওএমআর ও প্রাপ্ত নম্বরে গরমিলের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। আর এবার প্রকাশ্যে একাদশ-দ্বাদশের নামের তালিকাও। ৯০৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই ৯০৭ জনের ওএমআর ও প্রাপ্ত নম্বরের ক্ষেত্রে গরমিল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ, এদের ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে সার্ভারের নম্বর মিলছে না। বুধবার এমন ৯০৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় যাঁরা একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের একাংশ এই তালিকা প্রকাশ আটকানোর জন্য ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালত, ওএমআর শিট জনসমক্ষে না এনে আদালতে জমা করার জন্য বলেছিল। তবে নামের তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি জানায়নি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টে চাকরিরত শিক্ষকদের পক্ষে সওয়াল করছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। আর অপরপক্ষের জন্য সওয়াল করছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। মুকুল রোহাতগির বক্তব্য ছিল, এই কর্মরত শিক্ষকরা সাত বছর ধরে চাকরি করছেন। তাঁদের নামের সঙ্গে কোনও কলঙ্ক নেই। সেক্ষেত্রে কেন এভাবে তাঁদের তালিকা প্রকাশ করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল রোহাতগির। যদিও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু জানিয়েছিলেন, নাম-রোল নম্বর প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি নেই।
তবে অপর পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি ছিল, যাতে ওএমআর শিটও প্রকাশ করতে দেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান মুকুল রোহাতগি। কেন ওএমআর প্রকাশ করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ওএমআর শিট প্রকাশ্যে আনার বদলে, আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির দিন মুখবন্ধ খামে তা আদালতে জমা দেওয়ার জন্য।