কলকাতা: হাজরা মোড়ে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার পথেই বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চাকরিপ্রার্থীদের। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের অসুস্থতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার সকালে কালীঘাট সেতুর দিক থেকে নিয়োগপ্রার্থীদের মিছিল এসে হাজরা মোড়ে জড়ো হয়। কালীঘাট রিফিউজি হকার্স কর্নার সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। পুলিশ তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার কথা বললেও নিয়োগপ্রার্থীরা অনড় থাকেন। এরপর বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের গাড়িতে তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েক জন রাস্তায় পড়ে যান। তিনটি বাস, চারটি প্রিজন ভ্যানে আন্দোলনকারীদের তুলতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হন পুলিশকর্মীরা। একবার আন্দোলনকারীদের বাসে তোলা হচ্ছে। চিত্রটা এমন… আবার পুলিশের হাত ছাড়িয়ে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ছেন! একসময় চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের গাড়িতে তুলতে থাকেন পুলিশকর্মীরা। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই পরিস্থিতি চলতে থাকায় নিয়োগপ্রার্থীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে রাস্তাতেই শুয়ে পড়েন। কেউ কেউ অচৈতন্য হয়ে পড়েন।
কেউ আবার অশ্রুসজল চোখে হাতজোড় করে পুলিশের উদ্দেশে বলে চলেছেন, নিয়োগ দিন। আর আন্দোলনের এই ফ্রেমে প্রতীকী কিন্তু হৃদয় বিদারক ছবি হল আন্দোলনের রাস্তায় মায়ের কোলে থাকা ১৪ মাসের শিশুর কান্নার ছবি। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, “চাকরিই তো চাইছি। পাশ তো করেছি। তবে কীভাবে আমাদের বাকি জীবনটা। পড়াশোনা করে কি একটা চাকরিও জোগাড় করতে পারব না? আমাদের কেন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল?”
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে সল্টলেকে ২০১৪-র প্রাথমিকে টেট উত্তীর্ণদের একাংশ অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় নামেন। তার আগে বারাসতে জীবন্ত লাশ হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন নিজেদের বাচ্চাদেরও। নজিরবিহীন সেই বিক্ষোভে বাবা-মায়ের হয়ে চাকরির জন্য সরব হয়েছিল খুদেরাও। অভিযোগ, ২০১৪ সালে টেট পাশ করেও অনেকক্ষেত্রেই নিয়োগ হয়নি। উল্টে পর্ষদ সভাপতি দাবি করেছেন, যাঁরা যোগ্য তাঁরা প্রত্যেকে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। আরও কিছু জন নিয়োগপত্র পাবেন।
আরও পড়ুন: ঝালদায় কাউন্সিলর খুনের তদন্তে সরেজমিনে সিআইডি! প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা বলার সম্ভাবনা