কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর দুর্নীতি (Recruitment Scam) ও বেনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। এবার উঠে আসছে বয়স ভাঁড়িয়ে চাকরির অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমার নিয়ম ভাঙার। সেই অভিযোগের পরই এবার ২০ জনের ইন-সার্ভিস স্ট্যাটাসের নথি চেয়ে পাঠাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে আবেদনের সময়ে কারও বয়স ছিল ৪৫, কারও ছিল ৪৬ বছর… অথচ, এরাও আবেদন করতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত, যাঁদের বিরুদ্ধে এইভাবে বয়স ভাঁড়িয়ে চাকরির অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তাঁদের বেশিরভাগই ওবিসি ক্যাটেগরি ভুক্ত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির আবেদন করা যেতে পারে। ওবিসি (এ) ও ওবিসি (বি) ক্যাটেগরিভুক্তদের জন্য বয়সসীমা তিন বছর শিথিল করা হয়। ইন-সার্ভিস ক্যাটেগরি হলে তা আরও বেশ কয়েকবছর বাড়ে। এক্ষেত্রে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা যদি ইন-সার্ভিস ক্যাটেগরিভুক্ত হন, তাহলে এখানে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, এরা ইন-সার্ভিস নন।
এমন অবস্থায় এবার যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, এমন ২০ জনের ইন-সার্ভিস স্ট্যাটাসের প্রয়োজনীয় নথি চেয়ে পাঠাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ওবিসি (এ) ক্যাটেগরিভুক্ত এবং চারজন রয়েছেন যাঁরা জেনারেল ক্যাটেগরিভুক্ত। জেলাওয়াড়ি হিসেবে দেখলে এই ২০ জনের মধ্যে কেবল মুর্শিদাবাদ থেকেই রয়েছেন ৯ জন। এছাড়া নদিয়া থেকে ছয় জন, উত্তর ২৪ পরগনার দুই জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই জন এবং বীরভূমের একজন রয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব, তাঁদের ইন-সার্ভিস স্ট্যাটাসের নথি কমিশনকে পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিশিয়াল ই-মেল আইডিতেও এই সংক্রান্ত সেল্ফ অ্যাটেস্টেট করা নথি পাঠানো যেতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কমিশন।