West Bengal State Election Commission: এবার রাজ্যপালের কোর্টে ‘বল’, আজ থেকে শূন্য রাজ্য কমিশনারের পদ

West Bengal State Election Commission: নবান্ন তরফে শুরুতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য রাজভবনে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস রাজীব সিনহা-র নাম পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আইএএস অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অজিত রঞ্জন বর্ধনের নাম পাঠানো হয়।

West Bengal State Election Commission: এবার রাজ্যপালের কোর্টে ‘বল’, আজ থেকে শূন্য রাজ্য কমিশনারের পদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 29, 2023 | 3:23 PM

কলকাতা: সোমবার থেকে কমিশনারহীন রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কে নতুন কমিশনার হবেন তা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের মধ্যে জট এখনও কাটেনি। রবিবার মেয়াদ শেষ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের। এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হল সাংবিধানিক পদ। সাধারণভাবে তা শূন্য থাকার কথা নয়। যদিও অতীতেও দেখা যায়, সেই পদ শূন্য ছিল। প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংয়ের মেয়াদ শেষের পর নতুন কমিশনার হিসাবে সৌরভ দাসের দায়িত্ব পর্বে ২৪ দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদ শূন্য ছিল। এ ক্ষেত্রে কত পদ শূন্য থাকবে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। কারণ, কমিশনার কে হবেন, সেই ফাইলে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) সই না করলে নতুন কমিশনার নিযুক্ত হতে পারবেন না।

নবান্ন তরফে শুরুতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য রাজভবনে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস রাজীব সিনহা-র নাম পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আইএএস অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অজিত রঞ্জন বর্ধনের নাম পাঠানো হয়। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও নামেই সম্মতি দেননি রাজ্যপাল।

কেন শুধুমাত্র রাজীব সিনহা? ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের কাছে এই প্রশ্ন জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপরেই আরও একটি নাম পাঠায় রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও কোনও নামেই সম্মতি দেননি রাজ্যপাল। সোমবার সকালেই দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল। আজ রাতেই ফেরার কথা তাঁর। ফলে আজও যে সই হবে তা বলাই যায়। তবে রাজ্য সরকারের তরফে আরও কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারের নাম ভাবা হয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাজ্যের প্রস্তাবে সাড়া দিতে চাননি রাজ্যপাল।

কবে সই হবে ফাইল? শূন্যপদই বা কতদিন থাকতে পারে?

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আগামী মাসেই ঘোষণার সম্ভাবনা প্রবল। সেই কারণে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রাজ্যের আলোচনা প্রয়োজন। অর্থাৎ বেশিদিন যে এই পদ ফাঁকা থাকবে না তা স্পষ্ট। রাজ্য বিজেপি-র মুখ্যপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “একটি সাংবিধানিক পদ। কীভাবে নিয়োগ হবে তার জন্য পদ্ধতি রয়েছে। রাজ্যের দায়িত্ব তা মেনে চলা। রাজ্য সরকার তিনটি নামের পরিবর্তে একটি নাম পাঠাল। রাজ্যপাল প্রশ্ন করতে আরও একটি নাম গেল। রাজ্যপাল এখনও অবধি যদি সম্মতি না দিয়ে থাকেন তা স্বাভাবিক।