AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BLO-দের নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনকে বড় বার্তা রাজ্যের নোডাল অফিসারের

Security of BLO: গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) এসআইআর ঘোষণার সময় প্রশ্ন ওঠে, বিএলও-দের নিরাপত্তার জন্য কমিশনের তরফে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? যার জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছিলেন, “আশা করব, এরকম ধরনের কোনও ঘটনা ঘটনা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন পদক্ষেপ করবে। আমার মনে হয় না এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে কমিশনকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।”

BLO-দের নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনকে বড় বার্তা রাজ্যের নোডাল অফিসারের
ফাইল ফোটোImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2025 | 9:22 AM
Share

কলকাতা: বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় (SIR) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO)। এসআইআর ঘোষণার পরই বাংলায় রাজনৈতিক চাপানউতোরে বিএলও-দের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গত ২৭ অক্টোবর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এসআইআরের ঘোষণার সময় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, বিএলও-দের নিরাপত্তা দেওয়া সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দায়িত্ব। এই অবস্থায় কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নোডাল অফিসার আশ্বাস দিয়েছেন, বিএলও-দের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে রাজ্য।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার আগে থেকেই এসআইআর নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেন শাসকদল তৃণমূলের নেতারা। এসআইআরের জন্য বাড়ি বাড়ি যাবেন বিএলও-রা। কিছুদিন আগে তৃণমূলের বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন, প্রত্যেক জায়গায় বিএলও কর্মীরা গ্রামে গেলে তাঁর সঙ্গে দলের বুথ স্তরের কর্মীদের যেতে হবে। গ্রামের একটি নামও যাতে বাদ না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যের পাল্টা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেছিলেন, বিএলওদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা কি মস্তানি করতে যাবে? নির্বাচন কমিশনের হয়ে বিএলও-রা গ্রামে যাবেন। সেখানে কেউ মস্তানি করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠি মিলতে পারে, মিলতে পারে গুলিও। ফলে এসআইআর ঘোষণার আগে থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ে বাংলায়।

রাজনৈতিক চাপানউতোরে বিএলও-দের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিএলও-রা কিন্তু একটা ভয়ের পরিবেশে রয়েছেন। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, একজনেরও নাম বাদ দিলে আমি ছাড়ব না। একজনেরও নাম বাদ দেবেন না। কিন্তু, একজন বিএলও যিনি সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করবেন, তিনি কোনও মুসলিম অনুপ্রবেশকারীর নাম কীভাবে রাখবেন? স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে বাদ দিতে হবে। আর বাদ দিলে তৃণমূলের লোক হামলা চালাবে, পুলিশ মামলা করবে। যদি এমন হয়, তাহলে বিএলও-দের সুরক্ষা দেবে কে? আমার মনে হয়, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই বিষয়টি দেখা উচিত। প্রয়োজনে বিএলও-দের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসা উচিত।”

গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) এসআইআর ঘোষণার সময় প্রশ্ন ওঠে, বিএলও-দের নিরাপত্তার জন্য কমিশনের তরফে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? যার জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছিলেন, “আশা করব, এরকম ধরনের কোনও ঘটনা ঘটনা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন পদক্ষেপ করবে। আমার মনে হয় না এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে কমিশনকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।” এবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের নোডাল অফিসার আশ্বাস দিলেন, বিএলও-দের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে রাজ্য।