কেন্দ্রের পোর্টালের জন্যই মন্থর হচ্ছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া, কড়া ভাষায় কটাক্ষ স্বাস্থ্যকর্তার

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Feb 03, 2021 | 11:31 PM

এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রের পোর্টাল নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে অনেক অভিযোগ তোলা হলেও এতটা চাঁচাছোলা ভাষায় কখনই সমালোচনা করা হয়নি।

কেন্দ্রের পোর্টালের জন্যই মন্থর হচ্ছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া, কড়া ভাষায় কটাক্ষ স্বাস্থ্যকর্তার
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

কলকাতা: টিকাকরণ প্রক্রিয়া (Covid Vaccination) শ্লথ হওয়ার জন্য এবার সরাসরি কেন্দ্রের পোর্টাল কো-উইনকে (Co-Win) কাঠগড়ায় দাঁড় করাল রাজ্য। প্রকাশ্যে তোপ দাগলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রের পোর্টালের জন্যই রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আজ থেকেই রাজ্যে কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে পোর্টাল বিভ্রাটের কারণে মারাত্মকভাবে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়।

বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা এক লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, “পোর্টাল মন্থর হ‌ওয়ায় অন্তত ৪৫ জন প্রাপককে কোভ্যাক্সিন দেওয়া যায়নি। পোর্টালের জন্য আরজিকরে চেয়েও অনেকে কোভ্যাক্সিন নিতে পারেননি।”এমনকি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি বলে খবর। এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রের পোর্টাল নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে অনেক অভিযোগ তোলা হলেও এতটা চাঁচাছোলা ভাষায় কখনই সমালোচনা করা হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী

দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিন নিয়ে আগাগোড়াই নানা প্রশ্ন উঠেছে। যদিও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ধন্দ কাটানোর সব উপকরণ‌ই মজুত ছিল। সেই মতো এদিন থেকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু হয়। প্রথম দিনে ৬০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও পোর্টালের কারণে ১৫ জন ভ্যাকসিন নিতেই পারেননি বলে খবর স্বাস্থ্যভবন সূত্রে। এমন ৪০-৪৫ জন আরও রয়েছেন যারা নাম নথিভুক্ত করালেও পোর্টালে তাঁদের নামই দেখা যায়নি। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষের কাছেই এসএমএস পৌঁছয়নি পোর্টাল বিভ্রাটের জন্য। মোট ৩৫০০০ ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামা হলেও যে কারণে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১২,৭২৫কে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলায় শুরু হল কোভ্যাক্সিন দেওয়া, টিকা নিলেন সরকারি আধিকারিকরা

স্বাস্থ্য দফতরের পরিকল্পনা ছিল এস‌এসকেএম, আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হবে কোভ্যাক্সিনের প্রথম টিকাকরণ। কিন্তু, দুপুরে ছন্দপতন ঘটে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। প্রাপকের অভাবে সেখানে টিকাকরণ শুরুই করা যায়নি। একটি ভায়ালে ২০ জনকে টিকা দেওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে এস‌এসকেএমে টিকা নিয়েছেন ১৩ জন। আরজিকর-এ প্রাপকের সংখ্যা ২২। যার ফলে টিকার অপচয় এড়ানো যায়নি।

এহেন পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের কো-উইন পোর্টালকেই দায়ী করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তাঁর সাফ কথা, “পোর্টাল-বিভ্রাটে রাজ্যের টিকাকরণ প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ৮০ শতাংশ প্রাপকের কাছে এস‌এম‌এস পৌঁছয়নি। ৩৫ হাজার লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বুধবার মাত্র ১২৭২৫ জন টিকা পেয়েছেন।”

আরও পড়ুন: আইসিই’তে চিকিৎসাধীন রোগীকে কিল-চড়-থাপ্পড়! পিয়ারলেস হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

Next Article