আইসিই’তে চিকিৎসাধীন রোগীকে কিল-চড়-থাপ্পড়! পিয়ারলেস হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

রোগী হেনস্থাকে কেন্দ্র করে হলুস্থূল পিয়ারলেস হাসপাতালে

আইসিই'তে চিকিৎসাধীন রোগীকে কিল-চড়-থাপ্পড়! পিয়ারলেস হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 03, 2021 | 6:05 PM

কলকাতা: আইসিই’তে (ICU) চিকিৎসাধীন রোগীকে চুলের মুঠি ধরে চড়-থাপ্পড়! রোগীকে শারীরিক হেনস্থা করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করায় থানায় অভিযোগ করল রোগীর পরিবার। ঠিক কী ঘটেছিল?

দিন দুয়েক আগে বাইপাসের ধারে পিয়ারলেস নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল সোদপুরের বাসিন্দা জনৈকা শিখা দেবীকে। তাঁর পুত্র জানিয়েছেন, গত ছ’বছর ধরে মায়ের সিরোসিস অফ লিভারের চিকিৎসা চলছে মায়ের। ফুসফুসেরও সমস্যা ছিল তাঁর। এতদিন চিকিৎসক অশোকানন্দ কোনারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। আপাতত ওই চিকিৎসক ছুটিতে থাকায় তাঁর জায়গায় শিখা দেবীর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক বি বি পাল। এদিকে গত সোমবার শিখা দেবীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয়। তাঁর পেটে ও বুকে জল জমা হওয়ায় ড্রেন করে তা বের করে দেওয়া হচ্ছিল।

কিন্তু কোনও কারণে সেই চ্যানেল খুলে রক্তক্ষরণ শুরু হলে নার্সকে ঢাকা হয়। কিন্তু রোগী পরিবারের দাবি, একজন নার্স অভিযোগ করেন ইচ্ছাকৃতভাবেই শিখা দেবী ওই চ্যালেল খুলে দিয়েছেন। তিনি এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। অসুস্থ শিখা দেবীর চুলের মুঠি ধরে কিল-চড়-থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে বুধবার সকালে হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ করা হলে তিনি এরকম ঘটনার কথা অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুন: বাংলায় শুরু হল কোভ্যাক্সিন দেওয়া, টিকা নিলেন সরকারি আধিকারিকরা

এরপর পঞ্চসায়র থানায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রোগীর পরিবার। এদিন দুপুরে ঘটনার তদন্ত করতে পিয়ারলেসে যায় পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে পিয়ারলেস নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তারা মুখ খুলতে চায়নি। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে রোগী পরিবারের তরফে অভিযুক্ত নার্সকে বরখাস্তের দাবি উঠেছে।

প্রসঙ্গত, শহর কলকাতার বুকে বারবার রোগী ও রোগী পরিবারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠছে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। রোগীর স্বাস্থ্যবিমা ছিল। হাসপাতালের বেডও ছিল। তারপরেও সল্টলেকের আমরি হাসপাতাল এক ষাটোর্ধ্ব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আমরিকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করে স্বাস্থ্য কমিশন।