কলকাতা: সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে অনলাইন ভোটার তালিকার নামে কারসাজি করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পরেই ভূতুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধন করতে কড়া নির্দেশ নবান্নের। নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হল জেলাশাসকদেরও। তা নিয়ে জোর চাপানউতোর প্রশাসনের অন্দরে।
শনিবার সব জেলার জেলাশাসক এবং একাধিক দফতরে সচিবদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। নির্দেশে বলা হয়েছে, আবেদন জমা পড়ার পর ভাল করে তা যাচাই করতে হবে। কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় যদি অস্বাভাবিক সংখ্যক ভোটার কার্ডের আবেদন জমা পড়লে সেগুলি পুনরায় যাচাই করতে হবে। এমনকি ভুয়ো ভোটার তালিকা তৈরির কাজে কোনও সরকারি কর্মী যুক্ত থাকার অভিযোগ এলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ বা প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়ার সতর্কতা করা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।
সূত্রের খবর, বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যেই ভুতুড়ে ভোটারের তালিকা ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেই বারুইপুরের চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে দেখা যায় একেবারে ভূতুড়ে কাণ্ড। গত লোকসভা ভোটেও যে পঞ্চায়েত এলাকায় ভোটার সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৮ থেকে ১৯ হাজারের মতো তাতেই বেড়ে ২২ হাজার ৪০০ হয়ে গিয়েছে। এত কম সময়ে একই এলাকায় এত ভোটার বাড়ল কী করে? স্ক্রটিনির তথ্য সামনে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায়।