Bhowanipore: স্কুলের দেওয়ালে হাত দিলেই শক খাচ্ছে পড়ুয়ারা, ভবানীপুরে ভয়ঙ্কর ঘটনা
Bhowanipore: গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা স্কুল বন্ধ। স্কুলের পঠন পাঠন সম্পূর্ণ বন্ধ। আগামী সোমবার থেকে বিকল্প উপায়ে স্কুল চালু করার চিন্তা-ভাবনা করলেও চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।

কলকাতা: এবার খোদ কলকাতার একটি স্কুল সাময়িক বন্ধ হয়ে গেল। বৃষ্টির জল পড়ে গোটা স্কুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট। পড়ুয়াদের হাতে লাগলো কারেন্টের শক। পঠন-পাঠন সাময়িক বন্ধ। কবে স্কুল খুলবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
সম্প্রতি, উত্তর ২৪ পরগনায় একটি স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সাপের আতঙ্কে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিষধর সাপগুলি যে ভাবে ঘোরাফেরা করছিল কার্যত তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। এরই মধ্যে এবার ভবানীপুরের এলগিন রোডেই কার্যত বন্ধ হওয়ার জোগাড় সরকার পোষিত (গভর্মেন্ট এইডেড) একটি স্কুল।
জানা যাচ্ছে, স্কুল চলাকালীন গোটা স্কুল বাড়ি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গেল। যদিও পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আগেই স্কুলের পড়ুয়াদের বের করে নিয়ে আসা হলো। তারপর থেকে গোটা স্কুল বন্ধ। স্কুলের ক্লাস কীভাবে চালানো যাবে সেটা নিয়ে সন্ধিহান স্কুলের কর্তৃপক্ষই।
গত বুধবার এলগিন রোডের শতবর্ষ প্রাচীন এই হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলছিল। তুমুল বৃষ্টিতে স্কুলের ছাদের ফাটল দিয়ে জল বেরিয়ে আসতে শুরু করে। গোটা ক্লাসরুম জলে ভরে যায়। এমনকী, একাধিক পড়ুয়ার বই এবং স্কুল ব্যাগ ভিজে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিপর্যয় শুরু। স্কুলের দেওয়ালে হাত দিতেই পড়ুয়ারা শক খেতে শুরু করে বলে দাবি। একাধিক পড়ুয়ার হাতে শক লাগে। আতঙ্কে চিৎকার করে সব পড়ুয়ারা বেরিয়ে আসতে শুরু করে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্তৃপক্ষ ওই ভবনে পৌঁছন। তাঁরাও দেওয়ালে হাত দিতেই শক খান। সঙ্গে সঙ্গে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা স্কুল বন্ধ। স্কুলের পঠন পাঠন সম্পূর্ণ বন্ধ। আগামী সোমবার থেকে বিকল্প উপায়ে স্কুল চালু করার চিন্তা-ভাবনা করলেও চিন্তা তাড়া করে বেড়াচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সংখ্যালঘু তহবিল থেকে ফান্ড চাওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভাকে এই ভবন সংস্কার করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কিছুই হয়নি। গোটা স্কুল বাড়ির ছাদ ভেঙে জল পড়ছে। স্কুলে ক্লাস করার মত উপযোগী শ্রেণি কক্ষ নেই।
এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “ওই দিন বড় বিপর্যয় ঘটে যেত, যদি না পড়ুয়ারা বেরিয়ে আসতে পারত।” ইতিমধ্যে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। সংস্কার কিভাবে করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিমসন মোল্লা বলেন, “বৃহস্পতিবারে ঘটনা ঘটে। গ্রুপ ডি স্টাফ জানান কারেন্ট মারছে। সিইএসসি-র কর্মীরা আসেন। আজ আমাদের ম্যানেজমেন্টের লোকজন আসছেন। উনি কথা বলবেন। আমরা চেষ্টা করছি বিকল্প কিছু ব্যবস্থা করার”

