কলকাতা : ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর (Student Leader death) প্রতিবাদে পার্ক সার্কাসে বিক্ষোভ দেখলেন ছাত্র ছাত্রীরা। ব্যানার হাতে, মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল করেন তাঁরা। সকলের দাবি একটাই, আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় যাঁরা জড়িত, দ্রুত তাঁদের শনাক্ত করে শাস্তি দিক প্রশাসন। কলকাতার রাজপথে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ দেখালেন পড়ুয়ারা (Student Protest)। পার্ক সার্কাসে দীর্ঘক্ষণ ধরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা প্রতিবাদে সামিল হন। ছাত্রনেতা আনিস খান, যাঁকে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসের এমবিএ ছাত্র ছিলেন। আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় খুনের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাঁদের এখন একটাই দাবি, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে।
এছাড়া এই খুনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে বলেও দাবি করছেন বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের অনেকে। পড়ুয়াদের দাবি, যেহেতু আনিস খান বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ করতেন, বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হতেন, সেই কারণ তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে যখন বিক্ষোভ চলছিল পার্ক সার্কাস চত্বরে তখন পুলিশের সঙ্গে এক প্রস্থ ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয় আন্দোলনরত পড়ুয়াদের। এরপর তাঁরা ডন বসকো আইল্যান্ডে বসে পড়েন। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান পড়ুয়ারা। এরপর তাঁরা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেনিয়াপুকুর ক্যাম্পাসে চলে যান। সেখানেই পড়ুয়াদের জিবি মিটিং শুরু হয়। আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা কী হবে, আনিসের মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে আগামী দিনে কী পথ নেবেন পড়ুয়ারা, সেই সব নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে।
এদিকে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টা নাগাদ আনিস খান খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মহাকরণে যেহেতু সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী রয়েছেন, সেই কারণেই তাঁরা মহাকরণ অভিযান করতে চলেছেন। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপস্থিত থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এর পাশাপাশি, অন্যান্য সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের ওইদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য আবেদন করা হয়েছে। পড়ুয়াদের মহাকরণ অভিযানের মূল দাবি হল – আনিস খুনের তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত ধরতে হবে।
উল্লেখ্য, পড়ুয়ারা কার্যত সরকার এবং প্রশাসনকে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে। আনিস খুনে অভিযুক্তদের যদি দ্রুত গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে আগামী দিনে এমন কিছু আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলছে, যা সরকারের কল্পনাতীত।