Pradesh Congress president: অধীর অতীত, রাহুল ঘনিষ্ঠ শুভঙ্কর প্রদেশের ‘বস’
Pradesh Congress president: অধীর চৌধুরী দু'দফায় প্রায় ৮ বছর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। প্রথমে ২০১৪ সালের ফেব্রয়ারি থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর। এরপর সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ফের প্রদেশ কংগ্রেসের হাল ধরেন তিনি। এবারও চার বছর প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলেছেন।
কলকাতা: প্রদেশ কংগ্রেসে অধীর জমানার ইতি। বাংলায় কংগ্রেসের নতুন ‘বস’ হলেন রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ শুভঙ্কর সরকার। শনিবার কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে শুভঙ্করকে নিয়োগ করেন। প্রেস বিবৃতিতে প্রদেশ সভাপতি হিসেবে অধীরের অবদানেরও প্রশংসা করা হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের পরই অধীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি। মল্লিকার্জুন খাড়্গে সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার পর কোনও রাজ্যে সভাপতি নিয়োগ করা হয়নি জানিয়ে নিজেকে অস্থায়ী সভাপতি অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। পরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে আর প্রদেশ সভাপতি না থাকার কথা জানিয়েছিলেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ।
তাঁর জায়গায় নতুন কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। একাধিক নাম সামনে উঠে আসে। শেষপর্যন্ত একসময় যুব কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা শুভঙ্কর সরকারকেই বেছে নিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বরাবরই রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শুভঙ্কর। ওড়িশা-সহ একাধিক রাজ্যে এআইসিসি-র দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন দিল্লিতেও সংগঠনের কাজ করেছেন তিনি। এদিন তাঁকে প্রদেশ সভাপতি করার পর এআইসিসি-র সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
অধীর চৌধুরী দু’দফায় প্রায় ৮ বছর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। প্রথমে ২০১৪ সালের ফেব্রয়ারি থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর। এরপর সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ফের প্রদেশ কংগ্রেসের হাল ধরেন তিনি। এবারও চার বছর প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলেছেন।
অধীরের জায়গায় শুভঙ্করকে দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে কোন যুক্তি কাজ করেছে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অধীর চৌধুরী বরাবরই তৃণমূলের বিরোধী। কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দলই রয়েছে। কিন্তু, লোকসভার প্রচারে তৃণমূলকে লাগাতার নিশানা করেছেন তিনি। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ার জন্য অধীরকেই দায়ী করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
অধীরকে সরিয়ে শুভঙ্করকে প্রদেশ সভাপতি করার নেপথ্যে কি পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের রাজনৈতিক লাইন পরিবর্তনের ইঙ্গিত? এবার কি তীব্র তৃণমূল বিরোধিতার অবস্থান থেকে সরে আসবে কংগ্রেস? লোকসভা ভোটে চরম তৃণমূল বিরোধিতার কারণে আসন সমঝোতা না হওয়ার জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের যে শিবির ক্ষুব্ধ ছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন শুভঙ্কর সরকার। এআইসিসি সদর দফতরে যে বৈঠকে গোলাম আহমেদ মীর অধীরকে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি বলেছিলেন, সেই বৈঠকেই শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে শোনেন কেসি বেণুগোপাল এবং মীর। ফলে শুভঙ্করকে প্রদেশ সভাপতি করে তৃণমূলকে বার্তা পাঠানো হল কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।