কলকাতা: লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বে অস্বস্তি যেন পিছু ছাড়ছে না উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। কিছুদিন আগে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে একেবারে অনশনে বসে পড়েছিলেন দলের কাউন্সিলর মোনালিসা। আর এবার দলেরই কর্মী-সমর্থকদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল সুদীপকে। রবিবার কলকাতার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে রোড শো করছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই এই ঘটনা ঘটে। জানা যাচ্ছে, ওয়ার্ডের বাইরে থেকে লোক এনে মিছিল করছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেই কারণেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরা। সেই জটলার মধ্যেই সুদীপের রোড শোয়ের গাড়ির দিকে এগিয়ে যান তৃণমূলের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পাল। কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় রোড শো। বেশ কিছু সময় হাত নেড়ে কথা বলতে দেখা যায় দু’জনকে।
বিষয়টি নিয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূল মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পালের সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘তিনি বাইরের লোক নিয়ে মিছিলে ঘুরছেন। সেখানে যাঁরা স্থানীয় বুথ কর্মী, যাঁরা ৩৬৫দিন তৃণমূল কংগ্রেস করেন… তাঁদের একটি অংশকে একদমই বলা হয়নি। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। আমি তাই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে জানতে চাইলাম, কেন সর্বস্তরের কর্মীদের জানানো হয়নি। তিনি বলেন, এটি স্থানীয় কাউন্সিলরের দায়িত্ব ছিল।’ তবে মৃত্যুঞ্জয়ের দাবি, সর্বস্তরের কর্মীদের কাছে খবর না থাকার বিষয়টি ঠিক হয়নি বলে মেনে নিয়েছেন সুদীপ এবং আগামী দিনে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন।
সুদীপের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী তাঁর কর্মসূচির কথা স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছিলেন। এরপর যদি কোনও কারণে সবার কাছে সেই কর্মসূচির খবর না থাকে, সেটা নিতান্ত ভুল বোঝাবুঝির কারণেই ঘটে থাকতে পারে।
তাহলে কি স্থানীয় কাউন্সিলরের দিক থেকেও কোথাও কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছিল? বিষয়টি খোলসা করতে যোগাযোগ করা হয়েছিল কলকাতা পুরনিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীর সঙ্গেও। তিনি অবশ্য বলেন, ‘আমার পক্ষে জনে জনে খবর দেওয়া সম্ভব নয়। আমি ফেসবুক ও ওয়ার্ডের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ১০-১৫ দিন আগেই কর্মসূচির কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম। যদি এখন কেউ দাবি করে, তাঁকে ফোন করে জানাতে হবে… সেটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, আমাকে ভোটের কাজ ও অন্যান্য কাজও সামলাতে হচ্ছে।’