কলকাতা: কার্নিভাল এখন মৃত্যুর কার্নিভালে পরিণত হয়েছে। শনিবার যখন রেড রোডে কার্নিভাল ঘিরে চূড়ান্ত ব্যস্ততা, তখন এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “কার্নিভালে কোথাও মাল বাজারে ধুইয়ে চলে গেল, নদীর স্রোতে কিছু মানুষ লাশ হয়ে ফিরে এল। আবার ষাঁড়ের গুঁতোয় মৃত্যু হল। মানুষের মাথার ওপর প্রতিমা ভেঙ্গে পড়ল।” দশমীর পর থেকে পর পর রাজ্যের দুই বঙ্গেই মর্মান্তিক দুটি ঘটনা ঘটেছে। দশমীর রাতে মালবাজারে মাল নদীতে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে আচমকাই মাল নদীতে চলে আসে হড়পা বান। ঘাটে সেসময় ছিলেন হাজার খানেক লোক। সে সময় বহু মানুষ তলিয়ে যান। ৮ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। প্রতিমা নিরঞ্জনের স্বার্থে পুরসভার তরফ থেকে মাল নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। তা থেকেই দুর্ঘটনা। এমনকি দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকার্যেও প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। শুক্রবারই বিজেপির প্রতিনিধি দল মালবাজারে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
এর রেশ কাটার আগেই শুক্রবার রায়গঞ্জে কার্নিভালে ষাঁড়ের গুঁতোয় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আহত বহু। এই বিষয়গুলোকে উল্লেখ করে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন। এসবের মাঝেও কেন কার্নিভাল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সুকান্তর কটাক্ষ, ” চাকরিপ্রার্থীরা দিনের পর দিন অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে হাইকোর্টের রায় থাকা সত্ত্বেও সেই রায়কে উপেক্ষা করে তাঁদের সরিয়ে দিয়ে কার্নিভাল হচ্ছে। এই কার্নিভাল মৃত্যুর কার্নিভাল। এই রাজ্য মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।”
এদিকে, কার্নিভাল ঘিরে রেড রোডে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কার্নিভালের জন্য ঢেলে সাজানো হয়েছে যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে একাধিক রাস্তা বন্ধ করার কথা জানানোর পাশাপাশি জানানো হয়েছে, খোলা থাকবে বেশ কিছু বিকল্প রাস্তা।