কলকাতা: চার বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ শিবিরের নেতৃত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মোট ১৮ টি লোসকভা কেন্দ্র এসেছিল বিজেপির দখলে। এর মাঝে নেতৃত্বে বদল এসেছে। দলে এসেছে নতুন মুখও। বঙ্গ বিজেপির অন্দরের দ্বন্দ্বের কথাও প্রকাশ্যে এসেছে বিভিন্ন সময়। রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তবে দিল্লিতে বিজেপির কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকের পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, আপাতত রাজ্য সভাপতি পদে থাকছেন সুকান্তই। সব ঠিক থাকলে, তাঁর নেতৃত্বেই লোকসভা নির্বাচন লড়বে বঙ্গের গেরুয়া শিবির। ২০২৪ পর্যন্ত বিজেপিতে আর কোনও রাজ্য সভাপতি নির্বাচন হবে না বলে মঙ্গলবার দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে, সুকান্তর পদে থাকা একপ্রকার নিশ্চিত।
এদিনই সর্বসম্মতিক্রমে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জে পি নাড্ডার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সভাপতি থাকবেন তিনিই। ২০১৯ আগেও ঠিক একইভাবে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল অমিত শাহের। আর রাজ্যে দিলীপ ঘোষ সভাপতি পদে থেকে গিয়েছিলেন।
২০২১ সালে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে নির্বাচিত হন উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার। আর দিলীপ ঘোষ হয়ে যান দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি। সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক সময় দলের অন্দরেও প্রশ্ন উঠেছে। তবে আপাতত সুকান্তর ওপরেই যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভরসা রাখছে, তা স্পষ্ট। শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচন নয়, তার আগে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনও বিজেপি লড়বে সুকান্তের নেতৃত্বে।
বিতর্ক থাকলেও সুকান্ত বরাবরই দলের ঐক্যের কথা বলে এসেছেন। একসময় বিধানসভায় এক বৈঠকে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, দলের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি আর বিধানসভায় দায়িত্ব নেবেন শুভেন্দু অধিকারী, আর সবার ওপরে থাকবেন দিলীপ ঘোষ।