কলকাতা: আরএসএস আদর্শে বিশ্বাসী। অধ্যাপক। সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়ায় বিজেপির বিচক্ষণতার প্রশংসা করেছিলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। গত ২ বছরে নানা তর্কে-বিতর্কে শিরোনামে উঠে এসেছেন সুকান্ত মজুমদার। তবে অনেকেই জানেন না, বটানি বা উদ্ভিদবিদ্যার গবেষণায় তাঁর অবদানের কথা। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল মূলত অর্গানিক ফার্মিং বা জৈব পদ্ধতিতে চাষ-আবাদ। বর্তমানে যুগে এই বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আজ সে সব গবেষণার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে সুকান্তর। তবে মাঝে মধ্যে সে সব গবেষণাপত্রের পাতা ওল্টাতে ভোলেন না তিনি।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানির অধ্যাপক ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। TV9 বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বটানিতে বেশ কিছু গবেষণা আছে তাঁর। মাঝে মাঝে খুলে দেখেন ‘সাইটেশন’ কোথায় পৌঁছল। বিশ্বের কোথায়, কোন গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর গবেষণার উল্লেখ রয়েছে, সেটাকে ‘সাইটেশন’ বলা হয়। সুকান্ত বলেন, “সম্প্রতি দেখলাম ‘সাইটেশন’ ৩৫০ হয়েছে। যদিও এটা এমন কিছুই নয়। আর এখন রাজনীতিতে এটা খুব একটা কাজে লাগে না। মিস করি।”
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটানি নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন সুকান্ত মজুমদার। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আরএসএস-এর সংস্পর্শে আসেন তিনি। পরবর্তীতে রাজনীতির সঙ্গেই যোগ বাড়তে থাকে ক্রমশ। তবে অধ্যাপনা থেকে রাজনীতিতে এলেও গড্ডলিকা প্রাহে গা ভাসাননি বলেই দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তিনি বলেন, “নিজের একটা রাস্তা তৈরি করা ভাল। সেই রাস্তায় আমি চলব। আমার সঙ্গে যদি মানুষ আসে তাহলে বাংলায় সংস্কৃতির পরিবর্তন হবে।”