অতিবৃষ্টিতে ভাসছে বাংলা। সাত জেলায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তালিকায় আছে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়া জেলা রয়েছে। সোমবার নবান্নে সাত জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। মাইথন-পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে। পুজোর আগে এমন বন্যা পরিস্থিতিতে বাড়ছে উদ্বেগ। শুধু তাই নয়, বুধবার জানা যাচ্ছে সিকিমের চুংথামে ব্যাপক জলস্ফীতি হয়েছে। একটি লেক ভেঙে পড়েছে। সেই জল গিয়ে ঢুকছে তিস্তায়। এ দিকে, জল ধরে রাখতে না পেরে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে প্রায় ৩৪৮৪ কিউমেক জল। তবে এখনও সতর্কতা জারি করেনি সেচ দফতর।
সিকিমে দশ জনের মৃত্যু। ৮২ জন নিখোঁজ। আটকে ৩০০০ পর্যটক।
তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকা রংধামালী, নাথুয়া চড় প্রভৃতি এলাকা থেকে দুর্গতদের স্পিড বোটে করে উদ্ধার করছেন সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন পাহাড় পুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার গাইড বাঁধে রেইন কাট। মেরামতি করছে সেচ দপ্তর।
নিম্নচাপের লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহকুমায় কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি জলের তলায়। মাঠের পর মাঠ ধানের ক্ষেত জলের তলায় চলে গিয়েছে।
উত্তরে তিস্তা। উপকূলে কেলেঘাই নদী। উপচে হু হু করে জল ঢুকছে দুই জেলায়। বাঘুই নদীর জলে প্লাবিত পটাশপুরের বহু গ্রাম। একদিকে রবিবার রাত থেকে টানা বর্ষণ অন্যদিকে পড়শি রাজ্যে ভারী বৃষ্টির ফলে একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। ফলস্বরূপ বাগুই ও কেলেঘাই নদী উপচে জল ঢুকছে পটাশপুর ১ নং ব্লকের চকগোপাল প্রদিমা সহ বহু গ্রামে।
বিস্তারিত পড়ুন: Sikkim Flood: আরও রুদ্ররূপ তিস্তার! জারি লাল সতর্কতা
নিম্নচাপের জন্য একটানা বৃষ্টি আর ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহকুমা জুড়ে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ডিভিসি-সহ বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে যে কোন মুহূর্তে আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে।
পুজোর আগে মহাদুর্যোগের মুখে বাংলা। নিম্নচাপের প্রভাবে আরও বাড়বে বৃষ্টি। মঙ্গলবার রাজ্যের ৬ জেলায় কমলা সতর্কতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। কোথাও কোথাও ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা।
পুজোর আগে মহা-দুর্যোগের মুখে বাংলা। নিম্নচাপের প্রভাবে আরও বাড়বে বৃষ্টি। আজ রাজ্যের ৬ জেলায় কমলা সতর্কতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ কোথাও কোথাও ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা। কাল অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড ও বাংলার একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ফলে ডিভিসি তো বটেই, রাজ্যের হাতে থাকা জলাধার থেকেও আরও জল ছাড়তে হতে পারে। বাঁধের জল, বৃষ্টির জল মিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে কলকাতায়।
চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের শ্যামগঞ্জ গ্রাম। তিনতলা একটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে সোমবার রাতে। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে এই ঘটনা বলে দাবি পরিবারের। সবিস্তারে পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ধসল মাটির বাড়ির, সব হারিয়ে পথে গোটা পরিবার
দিনভর রোদ-বৃষ্টির খেলা চললেও মঙ্গলবার ভোর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূল এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। সকাল থেকে উপকূলের আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। মঙ্গল ও বুধবার জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে বাঁকুড়ায় দ্বারকেশ্বর নদে ডুবল একাধিক সেতু। পারাপার বন্ধ মীনাপুর ও ভাদুল সেতুতে। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ভাদুল ও মিনাপুর সেতু ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে যাওয়ায় ওই দু'টি সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভাদুল সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সোনাতপল, বালিয়াড়া, সুরপানগর, মালাতোড় সহ বহু গ্রাম।
মঙ্গলবার সকাল থেকে উপকূলের আকাশে কালো মেঘ। মঙ্গলবার ও বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। আগামী দু’দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
জলে ডুবতে শুরু করেছে ঘাটাল পুরসভার ৩, ৬,৭,৯,১২-সহ বেশ কিছু ওয়ার্ড। জলে ডুবেছে পুরসভার রাস্তাঘাট। জল পেরিয়ে চলছে যাতায়াত। ঘাটাল পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে জল ঢুকছে ৩,৬,৭,৯,১২ ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর, নিশ্চিন্দিপুর-সহ বেশ কিছু এলাকায়। জলে ডুবেছে এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট। জল পেরিয়ে বাজারহাট থেকে শুরু করে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে ডাক্তারখানা। সকাল থেকেই চলছে মুষলধারে বৃষ্টি, বাড়ছে শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জল।
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কিছুটা কমানো হল। এখন ১,৩২,২২৫ কিউবিক ফুট প্রতি সেকেন্ড (কিউসেক) হারে জল ছাড়া হচ্ছে।
পুজোর মুখে রাজ্যে বন্যার আশঙ্কা। একদিকে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ। ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্যারেজ-সহ একাধিক ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। চিন্তায় হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের ভাটোরা, ঘোড়াবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে এলাকার চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এখানে বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ এলাকায় মাইকিং প্রচার চালানো হচ্ছে।
দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো হল। এখন ১ লক্ষ ১ হাজার ৩০০ কিউবিক ফুট প্রতি সেকেন্ড (কিউসেক) হারে জল ছাড়া হচ্ছে।
জেলায় কমান্ড সেন্টার চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বৃষ্টিপাত, নদীর জলস্তর, বাঁধ ভাঙার কোনও সম্ভাবনা থাকলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে 24x7 তথ্য শেয়ার করতে হবে।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এদিন নবান্নের বৈঠক থেকে জানান, ৩ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আভাস দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে সদা সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। প্রয়োজনে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত আলো, ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের ব্যবস্থা করতে। কোনও এলাকায় অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলে জেলাগুলিকে জানাতে হবে।
নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে এবার জল ছাড়া শুরু করল বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার। আপাতত ৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হলেও পরে বাড়িয়ে ১০ হাজার কিউসেক করা হতে পারে বলে কংসাবতী সেচ দফতর সূত্রে খবর। এদিকে ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ায় নিম্ন দামোদরের তীরবর্তী সোনামুখী ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলছে মাইকিংও।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, নিম্নচাপ এখনও ঝাড়খণ্ডেই রয়েছে। তার গতি খুবই ধীর। সহজে দুর্বলও হবে না নিম্নচাপ। ফলে আরও অন্তত ৩-৪ দিন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই অবস্থায় হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের দামোদর তীরবর্তী নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
নিম্নচাপের জেরে ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তাই সোমবার সকাল থেকেই পাঞ্চেত ও মাইথন ড্যাম থেকে এক লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি। দুপুরে জল ছাড়ার হার বাড়ানো হয়েছে। এখন ওই দুই ড্যাম থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি।
পুজোর আগে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। ১.৩ লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। নিম্নচাপের প্রভাবে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস। দামোদর তীরবর্তী নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা।
অতিবৃষ্টিতে ভাসছে বাংলা। সাত জেলায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তালিকায় আছে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়া জেলা রয়েছে। সোমবার নবান্নে সাত জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। মাইথন-পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে। পুজোর আগে এমন বন্যা পরিস্থিতিতে বাড়ছে উদ্বেগ। শুধু তাই নয়, বুধবার জানা যাচ্ছে সিকিমের চুংথামে ব্যাপক জলস্ফীতি হয়েছে। একটি লেক ভেঙে পড়েছে। সেই জল গিয়ে ঢুকছে তিস্তায়। এ দিকে, জল ধরে রাখতে না পেরে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে প্রায় ৩৪৮৪ কিউমেক জল। তবে এখনও সতর্কতা জারি করেনি সেচ দফতর।
সিকিমে দশ জনের মৃত্যু। ৮২ জন নিখোঁজ। আটকে ৩০০০ পর্যটক।
তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকা রংধামালী, নাথুয়া চড় প্রভৃতি এলাকা থেকে দুর্গতদের স্পিড বোটে করে উদ্ধার করছেন সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন পাহাড় পুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার গাইড বাঁধে রেইন কাট। মেরামতি করছে সেচ দপ্তর।
নিম্নচাপের লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহকুমায় কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি জলের তলায়। মাঠের পর মাঠ ধানের ক্ষেত জলের তলায় চলে গিয়েছে।
উত্তরে তিস্তা। উপকূলে কেলেঘাই নদী। উপচে হু হু করে জল ঢুকছে দুই জেলায়। বাঘুই নদীর জলে প্লাবিত পটাশপুরের বহু গ্রাম। একদিকে রবিবার রাত থেকে টানা বর্ষণ অন্যদিকে পড়শি রাজ্যে ভারী বৃষ্টির ফলে একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। ফলস্বরূপ বাগুই ও কেলেঘাই নদী উপচে জল ঢুকছে পটাশপুর ১ নং ব্লকের চকগোপাল প্রদিমা সহ বহু গ্রামে।
বিস্তারিত পড়ুন: Sikkim Flood: আরও রুদ্ররূপ তিস্তার! জারি লাল সতর্কতা
নিম্নচাপের জন্য একটানা বৃষ্টি আর ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহকুমা জুড়ে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ডিভিসি-সহ বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে যে কোন মুহূর্তে আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে।
পুজোর আগে মহাদুর্যোগের মুখে বাংলা। নিম্নচাপের প্রভাবে আরও বাড়বে বৃষ্টি। মঙ্গলবার রাজ্যের ৬ জেলায় কমলা সতর্কতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। কোথাও কোথাও ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা।
পুজোর আগে মহা-দুর্যোগের মুখে বাংলা। নিম্নচাপের প্রভাবে আরও বাড়বে বৃষ্টি। আজ রাজ্যের ৬ জেলায় কমলা সতর্কতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ কোথাও কোথাও ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা। কাল অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড ও বাংলার একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ফলে ডিভিসি তো বটেই, রাজ্যের হাতে থাকা জলাধার থেকেও আরও জল ছাড়তে হতে পারে। বাঁধের জল, বৃষ্টির জল মিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে কলকাতায়।
চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের শ্যামগঞ্জ গ্রাম। তিনতলা একটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে সোমবার রাতে। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে এই ঘটনা বলে দাবি পরিবারের। সবিস্তারে পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ধসল মাটির বাড়ির, সব হারিয়ে পথে গোটা পরিবার
দিনভর রোদ-বৃষ্টির খেলা চললেও মঙ্গলবার ভোর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূল এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। সকাল থেকে উপকূলের আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। মঙ্গল ও বুধবার জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে বাঁকুড়ায় দ্বারকেশ্বর নদে ডুবল একাধিক সেতু। পারাপার বন্ধ মীনাপুর ও ভাদুল সেতুতে। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ভাদুল ও মিনাপুর সেতু ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে যাওয়ায় ওই দু'টি সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভাদুল সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সোনাতপল, বালিয়াড়া, সুরপানগর, মালাতোড় সহ বহু গ্রাম।
মঙ্গলবার সকাল থেকে উপকূলের আকাশে কালো মেঘ। মঙ্গলবার ও বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি রয়েছে। আগামী দু’দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
জলে ডুবতে শুরু করেছে ঘাটাল পুরসভার ৩, ৬,৭,৯,১২-সহ বেশ কিছু ওয়ার্ড। জলে ডুবেছে পুরসভার রাস্তাঘাট। জল পেরিয়ে চলছে যাতায়াত। ঘাটাল পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে জল ঢুকছে ৩,৬,৭,৯,১২ ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর, নিশ্চিন্দিপুর-সহ বেশ কিছু এলাকায়। জলে ডুবেছে এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট। জল পেরিয়ে বাজারহাট থেকে শুরু করে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে ডাক্তারখানা। সকাল থেকেই চলছে মুষলধারে বৃষ্টি, বাড়ছে শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জল।
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কিছুটা কমানো হল। এখন ১,৩২,২২৫ কিউবিক ফুট প্রতি সেকেন্ড (কিউসেক) হারে জল ছাড়া হচ্ছে।
পুজোর মুখে রাজ্যে বন্যার আশঙ্কা। একদিকে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ। ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্যারেজ-সহ একাধিক ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। চিন্তায় হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের ভাটোরা, ঘোড়াবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে এলাকার চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এখানে বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ এলাকায় মাইকিং প্রচার চালানো হচ্ছে।
দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো হল। এখন ১ লক্ষ ১ হাজার ৩০০ কিউবিক ফুট প্রতি সেকেন্ড (কিউসেক) হারে জল ছাড়া হচ্ছে।
জেলায় কমান্ড সেন্টার চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বৃষ্টিপাত, নদীর জলস্তর, বাঁধ ভাঙার কোনও সম্ভাবনা থাকলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে 24x7 তথ্য শেয়ার করতে হবে।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এদিন নবান্নের বৈঠক থেকে জানান, ৩ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আভাস দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে সদা সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। প্রয়োজনে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত আলো, ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের ব্যবস্থা করতে। কোনও এলাকায় অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলে জেলাগুলিকে জানাতে হবে।
নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে এবার জল ছাড়া শুরু করল বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার। আপাতত ৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হলেও পরে বাড়িয়ে ১০ হাজার কিউসেক করা হতে পারে বলে কংসাবতী সেচ দফতর সূত্রে খবর। এদিকে ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ায় নিম্ন দামোদরের তীরবর্তী সোনামুখী ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলছে মাইকিংও।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, নিম্নচাপ এখনও ঝাড়খণ্ডেই রয়েছে। তার গতি খুবই ধীর। সহজে দুর্বলও হবে না নিম্নচাপ। ফলে আরও অন্তত ৩-৪ দিন প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই অবস্থায় হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের দামোদর তীরবর্তী নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
নিম্নচাপের জেরে ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তাই সোমবার সকাল থেকেই পাঞ্চেত ও মাইথন ড্যাম থেকে এক লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি। দুপুরে জল ছাড়ার হার বাড়ানো হয়েছে। এখন ওই দুই ড্যাম থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি।
পুজোর আগে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। ১.৩ লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। নিম্নচাপের প্রভাবে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস। দামোদর তীরবর্তী নিচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা।