কলকাতা: ‘ওদের মতো ভালো করে ভোট করাতে পারেননি। তাই সরানো হয়েছে তাঁকে।’ ভোটের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই তাহেরপুর থানার ওসি অপসারণে প্রতিক্রিয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনেকটাই লোকে বুঝতেই পারছেন। তাহেরপুরের ওসিকে কেন সরানো হল, মানুষ কি তা বুঝছেন না? আসলে ওদের মতে ভালো ভোট করাতে পারেননি ওসি। তাই সরিয়ে দেওয়া হল।’ প্রসঙ্গত, পুরভোটের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের রাতেই তাহেরপুর থানার ওসি পদ থেকে অপসারণ করা হল অভিজিৎ বিশ্বাসকে। পরিবর্তে তাহেরপুর থানার ওসি হয়েছেন ধানতলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি অমিতোষ রায়। ধানতলা থানার ওসি-র দায়িত্ব পেয়েছেন রজনী বিশ্বাস। রাজনৈতিক মহলের দাবি, তাহেরপুর পুরসভার বামফ্রন্টের দখলে যাওয়ায় এই প্রশাসনের রদবদল।
সবুজ সাইক্লোনে কার্যত ধূলিসাৎ বিরোধীরা। সেখানে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও গড় অক্ষুণ্ণ রেখেছে বামেরা। তাহেরপুর পুরসভায় মোট ১৩ টি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ৮ টি ওয়ার্ডে সিপিএমের দখলে। বাকি ৫টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সিপিএমের এই জয়ের পিছনে একটা স্ট্র্যাটেজি কাজ করেছে। কারণ সিপিএম তরুণ প্রজন্মের ওপর আস্থা রেখেছে।
কিন্তু রাতারাতি কেন তাহেরপুর থানার ওসিকে অপসারণ করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসনিক এই রদবদলের কি আদৌ ভোটের ফল দায়ী? শাসকদলের হাত রয়েছে এর পিছনে? প্রশ্ন থাকছেই।
পুলিশ কর্তা অভিজিৎ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘ওই পুলিশ অফিসার আসলে বামেদের রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই শাস্তি পেতে হয়েছে।’ বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূলের পরাজয়ের দায় বর্তেছে পুলিশ কর্তার ওপর। যদিও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, এটা একেবারেই প্রশাসনিক বিষয়।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের সঙ্গে এক টেবিলে বসে চা খেতে চাই না’, ‘রীতি’ মেনে এবারও বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট বিজেপির