Sukhendu Sarkar: ‘আমি আমার লক্ষ্যে অবিচল’, জহর সরকার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার পরই কী ইঙ্গিত সুখেন্দুশেখরের?
Sukhendu Sarkar: রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে লেখা চিঠিতে জহর সাংসদ পদ এবং রাজনীতি ছাড়ার কথা জানান প্রাক্তন আমলা। জহর সরকার ইস্তফা দিচ্ছেন, এ খবর সামনে আসার পরই TV9 বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গে।
কলকাতা: তিনিই প্রথম শাসকদলের সাংসদ, যিনি তিলোত্তমাপর্বে সরব হয়েছিলেন, ধরনায় বসেছিলেন। এমনকি আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বেসুরো সুখেন্দুশেখর রায়। তার মধ্যেই সাংসদ পদ থেকে আবার ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন জহর সরকার। এমনকি রাজনীতি ছাড়ার কথাও ঘোষণা করেছেন জহর সরকার। জহরের ইস্তফা প্রসঙ্গে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “জহর সরকার একজন সচেতন মানুষ হিসাবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন, আমি সেটাই মনে করি। আমরা কেউ সমাজের বাইরে নই। আমরা সমাজের ভেতর রয়েছি বলেই পদক্ষেপ করছি বা মুখ ফুটে বিষয়গুলি তুলে ধরছি।”
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে লেখা চিঠিতে জহর সাংসদ পদ এবং রাজনীতি ছাড়ার কথা জানান প্রাক্তন আমলা। জহর সরকার ইস্তফা দিচ্ছেন, এ খবর সামনে আসার পরই TV9 বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, “জহর সরকার একজন প্রাক্তন আমলা। ওঁ কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার ব্যাখ্যা তিনি তাঁর চিঠিতে দিয়েছেন, আমি আমার লক্ষ্যে অবিচল। দেড়শো কোটি মানুষের মধ্যে বিন্দুর মতো আমার অস্তিত্ব, একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে। আমার নাগরিত সত্ত্বা বলছে, তুমি নাগরিক সমাজের সঙ্গে থাকো। আমি বিবেকের নির্দেশে সেই কাজ করে চলেছি।” প্রসঙ্গত, ৮ অগস্টের মধ্যরাতে আরজি করের সেই নৃশংস ঘটনার পর ১৪ অগস্ট ছিল প্রথম ‘রাত দখল’ কর্মসূচি। ঠিক তার আগে ওই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে সুখেন্দু জানিয়েছিলেন, তিনি মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু। যোধপুর পার্কে নেতাজি মূর্তির সামনে তিনি ধরনাতেও বসেছিলেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর সুখেন্দু এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট দিয়ে মনে করিয়েছিলেন বাস্তিল দুর্গের পতনের কথা।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সুর চড়িয়ে এর আগে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দু। তবে তিনি জহরের মতো তিন বারের সাংসদ সুখেন্দুশেখর ইস্তফা দেওয়ার পথে হাঁটছেন কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)