কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচন হোক বা তেইশের পঞ্চায়েত ভোট। বারবার অভিযোগ উঠেছে ভোট পরবর্তী হিংসার। কখনও খুন। কখনও বাড়িঘর ভাঙুচুর। বিরোধীদের নিশানায় ছিল রাজ্যের শাসকদল। যদিও সেই দাবি খণ্ডন করেছে তারাও। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের পরও ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এসেছে। কোথাও বিরোধীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ, কোথাও আবার ভাঙচুর। কোথাও বিরোধীদের দোকান ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ। এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, তৃণমূল স্ট্র্যাটেজি পাল্টেছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ধরন এখন আলাদা।
শুভেন্দু বলেন, “প্রচুর জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে। হুমকি আসছে বাহিনী গেলে মৃত্যু মিছিল হবে। বাহিনী রাজ্যে থাকতেই ৮ থেকে ১০টা অভিযোগ এসেছে। আমাদর দেওয়া ইমেলেও হাজার অভিযোগ হয়েছে। আড়াই হাজার মানুষ যাঁরা ঘরছাড়া তাঁদের পাশে নিজে দাঁড়িয়েছি। আর কোর্ট ২১ জুন পর্যন্ত বাহিনী থাকার নির্দেশ দিয়েছে।” বিজেপি নেতার কথায়, তাঁরা চাইছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে থাকুন। প্রতিটি অভিযোগের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাঁরা বাড়ির বাইরে আছেন তাঁরা যেন ঘরে ফিরতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এখানেই শেষ নয়। এরপরই বিরোধী দলনেতার সংযোজন, “এবারের কায়দা অন্যরকম। একুশ সালে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবারে মৃত্যু কম। আহত প্রচুর। বাজার দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। আইএসএফ ও বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের কর্মীদের দোকান বন্ধ করা হয়েছে। এবারে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। ইলেকট্রিক লাইন কাটা হচ্ছে। টালিগঞ্জ যাদবপুরে টোটো অটো চালাতে দিচ্ছে না। রেশন দেওয়া হচ্ছে না। দোকান খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। ভাঙড়ে কোয়াক ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ হয়েছে।”