কলকাতা: কোন ফুলে যে মুকুল (Mukul Roy) তা যেন নিজেই ভুলে গিয়েছেন। বিজেপির টিকিটে একুশের ভোটে জিতেছেন। তার পর তৃণমূলে ঘরওয়াপসি করেছেন। এর মধ্যিখানে মুকুল রায়ের ব্যক্তিগত জীবনে বয়ে গিয়েছে ঝড়। তার পর যেন ‘অজানা’ মুকুল। শুক্রবার বোলপুরে পৌষ মেলায় গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর মন্তব্য ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর কাছে তৃণমূল ও বিজেপি এক! আর এ নিয়ে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কী বললেন?
অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন মুকুল রায়। শুক্রবার বলেছেন তিনি, ‘এই পুরসভা নির্বাচনে সারা বাংলায় বিপুল ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে।’ কথাগুলি যখন বলেছেন, পাশে দাঁড়ানো সকল তৃণমূল কর্মী-নেতা তখন স্তম্ভিত, বিস্মিত। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন তাঁকে ‘তৃণমূল’ বলে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় তিনি সংযোজন করেন আরও একটি উক্তি। বলেন, “হ্যাঁ, ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।” তাজ্জব নেতারা। বিব্রত অনুব্রতকে বলতে শোনা যায় ‘ঠিক আছে, চলো’। এদিকে এই গোটা ঘটনায় প্রতিক্রিয়া চাইলে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘কী বলেছে?’ যেন বারবার এই প্রশ্ন শুনতে চান তিনি, এমন প্রতিক্রিয়া দিয়ে হো-হো করে কয়েক সেকেন্ড হাসলেন বিরোধী দলনেতা। তার পর জানালেন আদালতে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে রাখা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। এ নিয়ে মামলাও দায়ের হয়। আদালতের নির্দেশ ছিল বিধানসভাকে বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে। এর মধ্যে শুক্রবার মুকুল আইনজীবী মারফত জানান, তিনি বিজেপির বিধায়ক, তৃণমূলে যোগ দেননি। তাঁর এই ব্যাখ্যা শুনে কার্যত বিস্মিত রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আর তার পরেই ফের বেফাঁস মন্তব্য করে তৃণমূলকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছেন মুকুল। যার প্রেক্ষিতে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলেন শুভেন্দু।
আগেও মুকুলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু:
গত ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে অমিত শাহের উপস্থিতিতে যে মুকুলের ঢালাও প্রশংসা শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর গলায়, এখন ‘অসুস্থ’ মুকুলকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। মুকুল বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দেন, ‘দলত্যাগী বিরোধী আইন কীভাবে বাংলায় কার্যকর করা যায়, তা তিনি দেখবেন। পদত্যাগ না করলে দলত্যাগ করা চলবে না। কীভাবে আইনি পথে এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়টি দেখব। আমি আইনজীবীদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব।’ আবার এও দাবি করেন, ‘মুকুল বাবুকে অসুস্থ সাজিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পিএসি বৈঠকেও হাজির হচ্ছেন না। খরচ আমরা করব, হিসেব আমরা রাখব, এটাই কাটমানি খ্যাত তৃণমূলের নীতি।’
মুকুল রায় অসুস্থ, বলছে তৃণমূল ও তার ছেলে:
বাবা অসুস্থ, বাবা যা বলেছেন, তা দলের কথা নয়। শুক্রবার বোলপুরে মুকুল রায়ের মন্তব্যের পর এমনটাই বললেন বিধায়ক-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি জানান, শারীরিকভাবে সুস্থ না হওয়ায় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন মুকুল রায় সেই কারণে এই রকম মন্তব্য করছেন। বাবার চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। আবার মুকুল রায়ের এই মন্তব্য দল সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিওব বিজেপি এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়েছে।
মুকুল রায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ:
“যেটা সবাই জানত, সেটা এখন তাঁর ছেলে বলে দিয়েছেন।” মুকুল রায়ের বেফাঁস মন্তব্যে এমনই প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুকুল প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “এমনিতেই শারীরিক অবস্থা ঠিক ছিল না ওঁর। যেভাবে তাঁকে অপব্যবহার করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে, আমার মনে হচ্ছে শেষ জীবনে এটা ঠিক নয়। ওঁ একজন সিনিয়র মানুষ। ওঁর শেখা উচিত। শেষজীবনে এটা ওঁর বোঝা উচিত। শেষ জীবনে এত কষ্ট পাওয়া, এত অপমানিত হওয়া… আমার মনে হয় যাঁরা এই ধরনের রাজনীতি করেন, তাঁদের বোঝা উচিত।”
আরও পড়ুন: Dooars Trip: বড়দিনে বড় ভিড় ডুয়ার্সে, ভাঙছে কোভিড বিধিও!
কলকাতা: কোন ফুলে যে মুকুল (Mukul Roy) তা যেন নিজেই ভুলে গিয়েছেন। বিজেপির টিকিটে একুশের ভোটে জিতেছেন। তার পর তৃণমূলে ঘরওয়াপসি করেছেন। এর মধ্যিখানে মুকুল রায়ের ব্যক্তিগত জীবনে বয়ে গিয়েছে ঝড়। তার পর যেন ‘অজানা’ মুকুল। শুক্রবার বোলপুরে পৌষ মেলায় গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর মন্তব্য ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর কাছে তৃণমূল ও বিজেপি এক! আর এ নিয়ে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কী বললেন?
অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন মুকুল রায়। শুক্রবার বলেছেন তিনি, ‘এই পুরসভা নির্বাচনে সারা বাংলায় বিপুল ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে।’ কথাগুলি যখন বলেছেন, পাশে দাঁড়ানো সকল তৃণমূল কর্মী-নেতা তখন স্তম্ভিত, বিস্মিত। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন তাঁকে ‘তৃণমূল’ বলে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় তিনি সংযোজন করেন আরও একটি উক্তি। বলেন, “হ্যাঁ, ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল।” তাজ্জব নেতারা। বিব্রত অনুব্রতকে বলতে শোনা যায় ‘ঠিক আছে, চলো’। এদিকে এই গোটা ঘটনায় প্রতিক্রিয়া চাইলে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘কী বলেছে?’ যেন বারবার এই প্রশ্ন শুনতে চান তিনি, এমন প্রতিক্রিয়া দিয়ে হো-হো করে কয়েক সেকেন্ড হাসলেন বিরোধী দলনেতা। তার পর জানালেন আদালতে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, পিএসি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে রাখা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। এ নিয়ে মামলাও দায়ের হয়। আদালতের নির্দেশ ছিল বিধানসভাকে বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে। এর মধ্যে শুক্রবার মুকুল আইনজীবী মারফত জানান, তিনি বিজেপির বিধায়ক, তৃণমূলে যোগ দেননি। তাঁর এই ব্যাখ্যা শুনে কার্যত বিস্মিত রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আর তার পরেই ফের বেফাঁস মন্তব্য করে তৃণমূলকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছেন মুকুল। যার প্রেক্ষিতে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলেন শুভেন্দু।
আগেও মুকুলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু:
গত ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে অমিত শাহের উপস্থিতিতে যে মুকুলের ঢালাও প্রশংসা শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর গলায়, এখন ‘অসুস্থ’ মুকুলকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। মুকুল বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দেন, ‘দলত্যাগী বিরোধী আইন কীভাবে বাংলায় কার্যকর করা যায়, তা তিনি দেখবেন। পদত্যাগ না করলে দলত্যাগ করা চলবে না। কীভাবে আইনি পথে এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়টি দেখব। আমি আইনজীবীদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব।’ আবার এও দাবি করেন, ‘মুকুল বাবুকে অসুস্থ সাজিয়ে ঘরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। পিএসি বৈঠকেও হাজির হচ্ছেন না। খরচ আমরা করব, হিসেব আমরা রাখব, এটাই কাটমানি খ্যাত তৃণমূলের নীতি।’
মুকুল রায় অসুস্থ, বলছে তৃণমূল ও তার ছেলে:
বাবা অসুস্থ, বাবা যা বলেছেন, তা দলের কথা নয়। শুক্রবার বোলপুরে মুকুল রায়ের মন্তব্যের পর এমনটাই বললেন বিধায়ক-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি জানান, শারীরিকভাবে সুস্থ না হওয়ায় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন মুকুল রায় সেই কারণে এই রকম মন্তব্য করছেন। বাবার চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। আবার মুকুল রায়ের এই মন্তব্য দল সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিওব বিজেপি এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়েছে।
মুকুল রায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ:
“যেটা সবাই জানত, সেটা এখন তাঁর ছেলে বলে দিয়েছেন।” মুকুল রায়ের বেফাঁস মন্তব্যে এমনই প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুকুল প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “এমনিতেই শারীরিক অবস্থা ঠিক ছিল না ওঁর। যেভাবে তাঁকে অপব্যবহার করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে, আমার মনে হচ্ছে শেষ জীবনে এটা ঠিক নয়। ওঁ একজন সিনিয়র মানুষ। ওঁর শেখা উচিত। শেষজীবনে এটা ওঁর বোঝা উচিত। শেষ জীবনে এত কষ্ট পাওয়া, এত অপমানিত হওয়া… আমার মনে হয় যাঁরা এই ধরনের রাজনীতি করেন, তাঁদের বোঝা উচিত।”
আরও পড়ুন: Dooars Trip: বড়দিনে বড় ভিড় ডুয়ার্সে, ভাঙছে কোভিড বিধিও!