Suvendu Adhikari: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের ‘নিদান’ শুভেন্দুর

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 02, 2023 | 12:21 AM

Suvendu Adhikari: এরইমধ্যে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুক্রবার বিধানসভায় দাঁড়িয়েই শুভেন্দু বলেন, "আমাদের পরিষদীয় দলের মিটিংয়ে মনোজ টিজ্ঞার প্রস্তাবক্রমে সবাই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যখন হাউজে আসবেন বিজেপি বিধায়করা তাঁকে বয়কট করবেন। ওনারা যদি বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রাখেন সাড়ে ৫ মাস। মুখ্যমন্ত্রীকেও আমরা বয়কট করব, চোর চোর শুনতে হবে।"

Suvendu Adhikari: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের নিদান শুভেন্দুর
বিজেপি নেতারা বিধানসভায়।
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী যখন বিধানসভায় ঢুকবেন, বিজেপি বেরিয়ে যাবে, জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বয়কট’ করবেন। কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাবেন তাঁরা। শীতকালীন অধিবেশনের শুরু দিন থেকেই বিধানসভা উত্তাল। ধরনা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদেই মুখ শাসক-বিরোধী। কেউ থালা বাজিয়েছে, কেউ বাঁশি, কেউ আবার মাথায় কলসি নিয়ে ঘুরেছে বিধানসভা প্রাঙ্গণে। একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছেই। এরইমধ্যে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

শুক্রবার বিধানসভায় দাঁড়িয়েই শুভেন্দু বলেন, “আমাদের পরিষদীয় দলের মিটিংয়ে মনোজ টিজ্ঞার প্রস্তাবক্রমে সবাই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যখন হাউজে আসবেন বিজেপি বিধায়করা তাঁকে বয়কট করবেন। ওনারা যদি বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রাখেন সাড়ে ৫ মাস। মুখ্যমন্ত্রীকেও আমরা বয়কট করব, চোর চোর শুনতে হবে।” পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের খোঁচা, বিজেপি যা করছে দিশাহীন রাজনীতি, নাটক।”

এদিকে আম্বেদকরের মূর্তির নিচে যেখানে তৃণমূল ধরনায় বসেছিল, সেই জায়গা শুক্রবার গঙ্গাজল দিয়ে ধোয় বিজেপি। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাধে। বিজেপির দাবি, এই জায়গা অপবিত্র হয়েছে তৃণমূলের কার্যকলাপে, তাই এই গঙ্গাজলে ধোয়া। আর তৃণমূলের তরফে একে নাটক বলে দাবি করা হয়। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিধানসভা চত্বরের ভিতরে বিক্ষোভ-ধরনা করতে গেলে আগাম অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকার পক্ষের সদস্যরা আমার অনুমতি নিয়েই ধরনায় বসেছিলেন। বিরোধী দল আমার কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি। সিঁড়ির সামনে বসে যাতায়াতকে অবরোধ করছিল তারা। এমন অঙ্গভঙ্গি করছিল শান্তিভঙ্গের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। সুতরাং আমি একটা অর্ডার দিয়ে বলেছি, আমি চাই পশ্চিমবঙ্গে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের এই চত্বরের মধ্যে ধরনায় বসতে হলে বা মিটিং করতে হলে আমার কাছ থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে।”

Next Article