কলকাতা: ২০২২ সালে ৫৩৮ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডে সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এই এত টাকার নির্বাচনী বন্ড কারা কিনে দিয়েছে তৃণমূলকে? তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় ওয়াকআউট করার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “২০২২ সালে ৫৩৮ কোটি টাকা ইলেকটোরাল বন্ডে সংগ্রহ করেছে তৃণমূল। ভারতের একমাত্র দল, যারা বিপুল পরিমাণ টাকা ইলেকটোরাল বন্ডে সংগ্রহ করেছে। যদি সৎ সাহস থাকে, তাহলে তালিকা প্রকাশ করুক, কারা কারা আপনাদের ইলেকটোরাল বন্ড কিনে দিয়েছেন।” শুভেন্দু আরও বলেন, “গোয়াতে ৪৭ কোটি টাকা, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে কত খরচ করেছে তৃণমূল, তা কিছুদিনের মধ্যেই জানা যাবে। এই টাকার উৎস কী? এই টাকা কে জুগিয়েছে?”
শুভেন্দুর আরও তোপ, “এই দল আতঙ্কিত, তাই ইডি সিবিআইকে আক্রমণ করছে। যদি ইডি-সিবিআই সত্যিকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত করে, তাহলে সৎ সাহস থাকলে কেন উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে না তৃণমূল?”
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে কালো টাকার খেলা বন্ধ করে ২০১৮ সালে ইলকটোরাল বন্ড চালু করেছিল মোদী সরকার। ঠিক হয়েছিল, কোনও ব্যক্তি কিংবা কোনও কর্পোরেট সংস্থা নির্বাচনের সময়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে চাইলে, বন্ড কিনে দলের হাতে তুলে দেবে। রাজনৈতিক দলগুলি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে পারবে। কোনও রাজনৈতিক দল বৈধ নির্বাচনী বন্ড নিজেদের অ্যাকাউন্টে যেদিন জমা করবে, সেদিনই ভাঙাতে হবে। তবে, কারা এই বন্ড কিনতে বিনিয়োগ করছে, সেই নাম প্রকাশ করা যাবে না। এর ফলে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকেও কাঠগড়ায় তোলা হয় একই প্রশ্নে। সেই সুরই শোনা গেল খোদ বিজেপি বিধায়কের মুখে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে তৃণমূলের তহবিলের প্রায় ৪১ কোটি টাকা এসেছিল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ৫২৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। আর এই বিষয়টিকেই ইস্যু করেছে বিরোধীরা। তৃণমূল দাবি করেছে, গোটাটাই স্বচ্ছতা বজায় রেখে হয়েছে। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, এত মোটা টাকার বন্ড কোন ব্যক্তি কিংবা সংস্থা দিল? সৎসাহস থাকলে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে তৃণমূলকে।