কলকাতা: ২৩ জুলাই নব নির্বাচিত চারজন প্রতিনিধির শপথ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সেই শপথ হতে পারে, তেমনই প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বিধানসভার তরফে বলে খবর। নবনির্বাচিত বিধায়ক হিসাবে শপথ নেবেন সুপ্তি পাণ্ডে, মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণ কল্যাণী, মধুপর্ণা ঠাকুর। শপথের জন্য রাজভবনে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্যের পরিষদীয় দফতর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে রাজভবনের তরফে কোনও স্পষ্ট উত্তর না আসায় এই প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। এরইমধ্যে আবার নয়া জটিলতা।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনের শপথ পাঠ করানোর দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই দায়িত্ব কি পালন হয়েছে? প্রশ্ন তুলে বিধানসভাকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল চিঠিতে লিখেছেন, তিনি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন শপথ বাক্য স্পিকার পড়িয়েছেন। তা কি সত্যি? ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়ার পরেও কি করে স্পিকার সেই শপথ করালেন? ওই দুই বিধায়কের শপথের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন? তা পালন না হলে আবার নতুন করে চার জন প্রতিনিধির শপথের অনুমতি কেন চাওয়া হচ্ছে প্রশ্ন রাজ্যপালের?
যদিও তার জবাবি চিঠিও পাঠিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ কোন পরিস্থিতিতে হয়েছে, তা জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি স্পিকারের। রাজ্যপালকে এ প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় রীতির কথা উল্লেখ করেছেন স্পিকার। রাজ্যপাল সায়ন্তিকা আর রেয়াতের শপথ পাঠের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দিয়েছিলেন। অধিবেশন চলাকালীন স্পিকার সেখানে থাকলে ডেপুটি স্পিকার শপথ পড়াতে পারেন না। অধিবেশনেই সেই পরিষদীয় রীতির কথা উল্লেখ করে স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব তুলে দেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর্ব এবং পরিষদীয় রীতির বিস্তারিত তথ্য জবাবি চিঠিতে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন স্পিকার।