কলকাতা: নন্দীগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবানীপুর উপনির্বাচনকে (Bhabanipur Bypoll) কেন্দ্রে করে অতিরিক্ত সতর্ক নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রবিবার সকাল থেকে ব্যালট ও ইভিএমের গণনা শুরু হতেই কমিশনের সেই রক্ষণাত্মক ভূমিকা বারবার করেই চোখে পড়ছে। নন্দীগ্রামে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী ঘোষণা করার পরও ফলাফল বদলে যায়, সে কথা মাথায় রেখেই কমিশন অতিরিক্ত সতর্ক ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র জানাচ্ছে, দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকেই এই অতিরিক্ত সাবধানী থাকার নির্দেশ এসেছে। ফলে অন্যান্য সময় যেভাবে নানা সূত্র মারফৎ প্রাথমিক ট্রেন্ড জানা যায়, এ বার সেই সুযোগ থাকছে না।
নন্দীগ্রামের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল, সেটা এখন আর কারও অজানা নয়। প্রাথমিক ট্রেন্ডে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায় জয়ী হলেও পরে যখন চূড়ান্ত ফলাফল সামনে আসে, তখন দেখা যায় দেড় হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। যা নিয়ে কোনও ফয়সালা এখনও পর্যন্ত হয়নি। তবে একই ধরনের কোনও গণ্ডগোল যাতে এ বার না হয়, প্রাথমিকভাবে সেটাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে কমিশনের।
সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছিল গণনা টেবিল থেকে। গণনার কাজে যে কর্মীরা নিযুক্ত থাকেন, তাঁদের কাছে থেকেই এই খবর প্রকাশ হয় বলে খবর। সে কথা মাথায় রেখে এ বার গণনাকেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসার বাদে আর কারোর কাছে মোবাইল রাখতে দেওয়া হয়নি। কমিশনের ওয়েবসাইটেও অনেক সময় নিয়ে তথ্য আপডেট করা হচ্ছে। রিটার্নিং অফিসার সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই কমিশন নতুন রাউন্ড গণনায় সায় দিচ্ছে এবং সেই মতো আপডেট করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভোটগণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী ৩ রাউন্ডেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশন সূত্রে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, চতুর্থ রাউন্ড গণনা শেষে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২,৪৩৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, তৃতীয় রাউন্ড শেষে জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন এগিয়ে রয়েছেন ৯৪২৯ ভোটে। সামশেরগঞ্জে ব্যবধান কম হলেও এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলামই।