কলকাতা : প্রায় দেড় বছর পর স্কুল খুলেছে (School Reopened)। অফলাইনে (Offline) ক্লাস করতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা। হাজিরা বলে দিচ্ছে, পড়ুয়ারা স্কুলে যাওয়ারই পক্ষে। শিক্ষকরাও (Teachers) ছাত্রছাত্রীদের সামনা সামনি পড়াতে পেরে খুশি। এমনকি অনেক জায়গায় পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে বাড়ি বাড়িও যাচ্ছেন শিক্ষকরা। কিন্তু কোভিড-বিধির গেরোয় শিক্ষকরা পড়েছেন মহাসঙ্কটে। অনেক তাড়াতাড়ি স্কুলে পৌঁছতে হচ্ছে। বেড়েছে কাজের চাপও। জেলা থেকে কলকাতা সর্বত্রই শিক্ষকদের একই অভিযোগ। শিক্ষক সংখ্যা বাড়ছে না, অথচ কাজের পরিধি বেড়েই চলেছে। একসঙ্গে অনলাইন ও অফলাইনে ক্লাসে নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা।
১. দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে একটি ক্লাসকে দু’টি বা তিনটি ব্যাচে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাত্, আগে দুটো সেকশন থাকলে, এখন অন্তত চারটে সেকশন রয়েছে। কিন্তু শিক্ষক-সংখ্যা একই। ফলে বারবার একই ক্লাস নিতে হচ্ছে।
২. এক দিকে চলছে অফলাইন ক্লাস, সেই সঙ্গে আবার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির অনলাইন ক্লাস চলছে। ফলে তৈরি হয়েছে আর এক সমস্যা। অফলাইন, অনলাইনে ক্লাস, দুটির পদ্ধতি আলাদা। তাই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
৩. ক্লাসের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির তালিকা তৈরি করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। মিড ডে মিল দিতে হচ্ছে, তার হিসেব রাখতে হচ্ছে।
৪. শনিবারও গোটা দিন ধরে ক্লাস করাতে হচ্ছে। এতদিন পর স্কুল খুলেছে বলে নিছক ইচ্ছেশক্তির জোরেই চালিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
৫. সাড়ে ৯ টায় স্কুলে ঢুকতে হচ্ছে। যে সব শিক্ষক- শিক্ষিকারা দূরে থাকেন, তাঁদের রীতিমতো অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় আপাতত ক্যান্টিন চালু হয়নি। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলের শিক্ষকদের অসুবিধা হচ্ছে।
৬. কোভিড বিধির জন্য ২৫ পড়ুয়া পিছু একটি করে ব্যাচ তৈরি করা হয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে প্রতি ক্লাসে ন্যূনতম ২টি ব্যাচ। পড়ুয়া সংখ্যা বেশি হলে কোনও কোনও স্কুলে ৩টি ব্যাচও রয়েছে। ফলে একই বিষয় অন্তত দ্বিগুণ সময় ধরে পড়াতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
৭. একসঙ্গে করতে হচ্ছে অনলাইনে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া, খাতা দেখার কাজ।
৮. ২টো শিফটে হচ্ছে ক্লাস। নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে ১০ টা থেকে আর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে ১১ টা থেকে। এর ফলেও একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
৯. অনেক স্কুলেই শিক্ষক সংখ্যা কম। রয়েছে শূন্যপদ। সে সব স্কুলে শিক্ষকদের কার্যত নাজেহাল অবস্থা।
শুধুমাত্র জেলা নয়, কলকাতার শিক্ষকরাও বলছেন সমস্যার কথা।
আরও পড়ুন : Farm Laws: কৃষি আইন প্রত্যাহারে কৃতিত্ব কার? টুইটারের কারা-কুঠুরি থেকে অতীতের ভিডিয়ো টেনে আনলেন রাহুল-ডেরেক
আরও পড়ুন : রেলওয়ের বড় সিদ্ধান্ত — দেশজুড়ে চালু হতে চলেছে সাত্বিক ট্রেন,এই ট্রেনগুলিতে আমিষ খাবার নিয়ে যাওয়া বারণ
কলকাতা : প্রায় দেড় বছর পর স্কুল খুলেছে (School Reopened)। অফলাইনে (Offline) ক্লাস করতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা। হাজিরা বলে দিচ্ছে, পড়ুয়ারা স্কুলে যাওয়ারই পক্ষে। শিক্ষকরাও (Teachers) ছাত্রছাত্রীদের সামনা সামনি পড়াতে পেরে খুশি। এমনকি অনেক জায়গায় পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে বাড়ি বাড়িও যাচ্ছেন শিক্ষকরা। কিন্তু কোভিড-বিধির গেরোয় শিক্ষকরা পড়েছেন মহাসঙ্কটে। অনেক তাড়াতাড়ি স্কুলে পৌঁছতে হচ্ছে। বেড়েছে কাজের চাপও। জেলা থেকে কলকাতা সর্বত্রই শিক্ষকদের একই অভিযোগ। শিক্ষক সংখ্যা বাড়ছে না, অথচ কাজের পরিধি বেড়েই চলেছে। একসঙ্গে অনলাইন ও অফলাইনে ক্লাসে নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা।
১. দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে একটি ক্লাসকে দু’টি বা তিনটি ব্যাচে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাত্, আগে দুটো সেকশন থাকলে, এখন অন্তত চারটে সেকশন রয়েছে। কিন্তু শিক্ষক-সংখ্যা একই। ফলে বারবার একই ক্লাস নিতে হচ্ছে।
২. এক দিকে চলছে অফলাইন ক্লাস, সেই সঙ্গে আবার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির অনলাইন ক্লাস চলছে। ফলে তৈরি হয়েছে আর এক সমস্যা। অফলাইন, অনলাইনে ক্লাস, দুটির পদ্ধতি আলাদা। তাই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
৩. ক্লাসের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির তালিকা তৈরি করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। মিড ডে মিল দিতে হচ্ছে, তার হিসেব রাখতে হচ্ছে।
৪. শনিবারও গোটা দিন ধরে ক্লাস করাতে হচ্ছে। এতদিন পর স্কুল খুলেছে বলে নিছক ইচ্ছেশক্তির জোরেই চালিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
৫. সাড়ে ৯ টায় স্কুলে ঢুকতে হচ্ছে। যে সব শিক্ষক- শিক্ষিকারা দূরে থাকেন, তাঁদের রীতিমতো অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় আপাতত ক্যান্টিন চালু হয়নি। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলের শিক্ষকদের অসুবিধা হচ্ছে।
৬. কোভিড বিধির জন্য ২৫ পড়ুয়া পিছু একটি করে ব্যাচ তৈরি করা হয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে প্রতি ক্লাসে ন্যূনতম ২টি ব্যাচ। পড়ুয়া সংখ্যা বেশি হলে কোনও কোনও স্কুলে ৩টি ব্যাচও রয়েছে। ফলে একই বিষয় অন্তত দ্বিগুণ সময় ধরে পড়াতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
৭. একসঙ্গে করতে হচ্ছে অনলাইনে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া, খাতা দেখার কাজ।
৮. ২টো শিফটে হচ্ছে ক্লাস। নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে ১০ টা থেকে আর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে ১১ টা থেকে। এর ফলেও একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
৯. অনেক স্কুলেই শিক্ষক সংখ্যা কম। রয়েছে শূন্যপদ। সে সব স্কুলে শিক্ষকদের কার্যত নাজেহাল অবস্থা।
শুধুমাত্র জেলা নয়, কলকাতার শিক্ষকরাও বলছেন সমস্যার কথা।
আরও পড়ুন : Farm Laws: কৃষি আইন প্রত্যাহারে কৃতিত্ব কার? টুইটারের কারা-কুঠুরি থেকে অতীতের ভিডিয়ো টেনে আনলেন রাহুল-ডেরেক
আরও পড়ুন : রেলওয়ের বড় সিদ্ধান্ত — দেশজুড়ে চালু হতে চলেছে সাত্বিক ট্রেন,এই ট্রেনগুলিতে আমিষ খাবার নিয়ে যাওয়া বারণ