কলকাতা: এরাজ্যে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে কোনো অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না বলে আগেই স্পষ্ট করেছিলেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করতে খোদ কমিশনের আধিকারিককে দুষতেও পিছপা হয়নি কমিশন। মঙ্গলবার এমন বেনজির অভিজ্ঞতা কমিশন কর্তাদের।
ঘটনার সূত্রপাত ভিডিয়ো কনফারেন্সকে কেন্দ্র করে। উত্তর বঙ্গের এক আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক চলছিল। সুদীপ জৈন তাঁর কাছে একটি বিষয়ের ব্যাখ্যা চাইছিলেন। হঠাৎ সেই কথোপকথনে ছেদ পরে। অফিসার যা বলতে চাইছিলেন তা আর কিছুই শুনতে পাচ্ছিলেন না জৈন। কমিশন কর্তারা সেটি নেটওয়ার্ক প্রবলেম বলে চালাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু জৈন এসবে আমল দিতে চাননি। বিরক্ত হয়ে খোদ নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন তিনি। কমিশন সূত্রে খবর সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে ভিষণ বিরক্ত হন জৈন।
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই রাজ্য পুলিসের অন্দরে ব্যাপক পরিবর্তন, একসঙ্গে ৭০ ইন্সপেক্টরের বদলি
ঠারে ঠোরে তিনি বুঝিয়ে দেন খোদ কমিশন অফিসের এই গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচন ২০১৮ সালে এক কমিশন কর্তা রাজ্যের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁকে সরানোর জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ঘরে বসে ধর্নাও দেন বিজেপি নেতারা। এবার কমিশনের তোপের মুখে খোদ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পরার ঘটনা বিশেষ তাতপর্যপূর্ন বলেই মনে করা হচ্ছে। কোন পক্ষপাতের অভিযোগ যেন না ওঠে সেটাই স্পষ্ট করতে চাইছে কেন্দ্রীয় কমিশন।
আরও পড়ুন: সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে বাদ প্রায় ৬ লক্ষ নাম
প্রসঙ্গত, কমিশন কর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও নজির এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ঘটেনি। তবে ভারতের অন্য রাজ্যে একাধিকবার কমিশন বদলের ঘটনাও রয়েছে।