Tender Scam: টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় এবার কাঁথির ইঞ্জিনিয়ার ও থানার দুই আধিকারিককে তলব CBI-এর
Tender Scam: গত ২৪ ডিসেম্বর কাঁথি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী কাকলি। তাঁর অভিযোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে।
কলকাতা: কাঁথ পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় কাঁথির পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পাণ্ডা এবং কাঁথি থানার দুই আধিকারিককে তলব করল সিবিআই তলব। বুধবার তিন জনকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। গত সপ্তাহে অভিযোগকারী কাকলি পণ্ডা অর্থাৎ শান্তনুর স্ত্রীর বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এবার শান্তনুর বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নিজামপ্যালেসে কাঁথি থানার এসআই ও এক কনস্টেবলকে তলব করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
গত ২৪ ডিসেম্বর কাঁথি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী কাকলি। তাঁর অভিযোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, কাঁথির একটি রাস্তার কাজ শেষ না করে টাকা নেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার রামচন্দ্র পাণ্ডার ঠিকাদারি করার শংসাপত্র নেই। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ ডিসেম্বর রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করে কাঁথি থানার পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে জানুয়ারিতে জামিন পান রামচন্দ্র। ততদিন তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন।
ছাড়া পেয়েই পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। প্রকাশ্যে এসে বিস্ফোরক দাবি করতে থাকেন তিনি। রামচন্দ্রের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছিল। রামচন্দ্রের কথায়, “আমাকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে মারাত্মক চাপ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে আধিকারিকরা এসে টেবিলে রিভলভার রেখে আমাকে জেরা করেছেন। নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক দিয়ে আমার পেটে খোঁচা দিয়েছে। কলকাতার আধিকারিকরা হুমকি দিয়েছেন, শুভেন্দুর নাম না বললে ৩ বছর জেলে ভরে রেখে দেব।” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বয়ান আগে থেকে চাপ দিয়ে রেকর্ড করানো হয়েছিল বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। কাঁথি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এরপর তলব করা হয় কাঁথি থানার এসআই ও এক কনস্টেবলকে। এবার প্রত্যেকের বয়ান মিলিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করবেন তদন্তকারীরা।