Aparna Sen: ‘সরকার বদল তো দরকার’, অকপট অপর্ণা সেন
Aparna Sen: তিনি পরিবর্তন চেয়েছিলেন কি না, জানতে চাওয়া হলে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, "পরিবর্তন চেয়েছিলাম কথাটা ভুল। একটা হোর্ডিং হয়েছিল। পরিবর্তন চাই বলে সেই হোর্ডিংয়ে আমার ছবি। আমি যখন দেখলাম, তখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি কি তখন জনে জনে গিয়ে বলব যে আমার অনুমতি ছাড়া ছবি দেওয়া হয়েছে।"
২০০৭ সাল। নন্দীগ্রামে কেমিক্যালের হাবের বিরুদ্ধে ক্রমশ আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। ১৪ মার্চ পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। তারপর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। তাতে সামিল হয়েছিলেন তিনিও। সেই প্রতিবাদ নিয়ে কী বলছেন অপর্ণা সেন? বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, “কোনও কারণে লোকের ধারণা তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনার জন্য আমি দায়ী। অতখানি ক্ষমতা আমার নেই। লোকে ভোট দিয়ে তৃণমূলকে সরকারে এনেছে। আমি নন্দীগ্রামের ঘটনার বিরুদ্ধে আরও অনেকের সঙ্গে পথে নেমেছিলাম। সেখানে অম্লান দত্তের মতো মানুষ ছিলেন। শঙ্খ ঘোষও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কারণ, একটা হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছিল।” এরপরই তিনি বলেন, “এই সরকারের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করেছি। আমার কারও কাছে জবাবদিহি করার নেই। তারা কি জবাবদিহি চাইবার যোগ্য?”
তিনি পরিবর্তন চেয়েছিলেন কি না, জানতে চাওয়া হলে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, “পরিবর্তন চেয়েছিলাম কথাটা ভুল। একটা হোর্ডিং হয়েছিল। পরিবর্তন চাই বলে সেই হোর্ডিংয়ে আমার ছবি। আমি যখন দেখলাম, তখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি কি তখন জনে জনে গিয়ে বলব যে আমার অনুমতি ছাড়া ছবি দেওয়া হয়েছে।” তবে তিনি জানান, অবস্থার পরিবর্তন চেয়েছিলেন। কীসের পরিবর্তন, তা ব্যাখা করে তিনি বলেন, “সরকার বদল চেয়েছিলাম, এমনটা নয়। আমি প্রতিবাদটা করেছিলাম সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের বিরুদ্ধে। বামফ্রন্টের আদর্শগত দিকের সঙ্গে আমি একমত। বামফ্রন্টের দুর্নীতি দেখেছি। আমরা ঘোর দুর্নীতি দেখছি এখানে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, আবার যদি নন্দীগ্রামের ঘটনা ঘটে, আবার প্রতিবাদ জানাবেন।
এই খবরটিও পড়ুন
আরজি কর কাণ্ডের পর প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী। এখন কী মনে হচ্ছে, সরকার বদল দরকার নাকি পরিস্থিতি বদল দরকার? প্রশ্ন শুনে অকপট অপর্ণা সেন। বললেন, “সরকার বদল তো দরকার। কিন্তু, সরকার বদল কীভাবে হবে, সেটা ভেবে দেখতে সবাইকে অনুরোধ করি। তাহলে আমরা কী চাই? সরকার বদল মানে ছাব্বিশ অবধি অপেক্ষা করা। তারপর ভোট। সরকারে যে কেউ আসতে পারে। বর্তমান সরকারই আসতে পারে। তাহলে কীভাবে আটকানো যায়? এই সরকারকে যদি ফেলে দেওয়া যায়, তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। তখন একটা বিশেষ দলের ধামাধারী কেউ আসবেন। তখন আমাদের অবস্থা হবে ইরানের মতো। আমি খুব খুশি হব যদি বাম সংগঠনগুলি সংগঠিত হতে পারে। যদি তারা ক্ষমতায়ও না আসতে পারে, তবু শক্তিশালী বিরোধী দরকার। সেটা আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু, সেখানে আমার করার কী আছে। আমি কী করতে পারি।”