AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

No Electricity: তিন বছর ধরে কারেন্ট নেই, গরমে পচতে পচতে জিয়াউলরা বলছে, ‘মৃত্যু ছাড়া তো কোনও উপায় নেই!’ কেন এই অবস্থা!

No Electricity: স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টা জানালেও তিনি কোনও কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। গত বছর তারিখ পঞ্চায়েত প্রধান একটি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করলেও কোন সুরাহা হয়নি।

No Electricity: তিন বছর ধরে কারেন্ট নেই, গরমে পচতে পচতে জিয়াউলরা বলছে, 'মৃত্যু ছাড়া তো কোনও উপায় নেই!' কেন এই অবস্থা!
বিদ্যুৎহীন জিয়াউলের বাড়িImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 15, 2025 | 8:27 PM
Share

বজবজ: প্রবল গরমে অস্থির হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। সামান্য কিছুক্ষণের জন্য লোডশেডিং হলেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে সারাক্ষণ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে জিয়াউল হকের পরিবারকে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজ ১ নম্বর ব্লকের বুইতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৫ নম্বর বুথের বাসিন্দা জিয়াউল। গত ২০২২ থেকে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছাড়াই জীবনযাপন করছেন তিনি। বছরের পর বছর এভাবেই দিন কাটাচ্ছেন জিয়াউল হক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

জিয়াউল হকের বাড়িতে আগে বিদ্যুৎ ছিল। তিনি আগে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকতেন। বাইরে থাকার জন্য এখানে ইলেকট্রিক বিল দেননি। আর বিল না দেওয়ায় তাঁর ঘরের আলো কেটে দেওয়া হয়। তিনি বাইরে থেকে ফিরে এসে ইলেকট্রিক অফিসে যোগাযোগ করেন এবং লাইন চালু করার অনুরোধ জানান। কিন্তু সেই ইলেকট্রিক লাইন জোড়া হয়নি এখনও।

কেন হয়নি বা কেন হচ্ছে না, তার উত্তর আজও পাননি জিয়াউল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টা জানালেও তিনি কোনও কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। গত বছর তারিখ পঞ্চায়েত প্রধান একটি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করলেও কোন সুরাহা হয়নি। স্থানীয় সদস্যের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে জিয়াউলের পরিবার।

এবার এই গরম থেকে বাঁচতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে তারা। পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলেও ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেননি কেউ। জিয়াউলের স্ত্রী বলেন, “এখানে থাকতে দেবে না বলে, আমাদের সঙ্গে এটা করা হচ্ছে। মৃত্যু ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।”