কলকাতা: প্রশ্ন উঠছিল আগামী ১৩ই নভেম্বরের উপভোটে বাম-কংগ্রেস কি একজোট হয়ে লড়বে? অবশেষ হল ফয়সালা। ছয় আসনের উপনির্বাচনে একাই লড়বে বামফ্রন্ট। রবিবার রাত পর্যন্ত উপনির্বাচনে জোট নিয়ে বাম এবং কংগ্রেস কেউ কারোর সঙ্গে আলোচনা করেনি। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে বাম নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তবে ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়েছে গিয়েছে বলে জানান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
লাল শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে কংগ্রেস যোগাযোগ করে। বিকেলের পরে বিমান বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন শুভঙ্কর সরকার। সেই সময় সিতাই নিয়ে দাবি কংগ্রেস। তখন আর সম্ভব ছিল না। কারণ, বামফ্রন্টের বৈঠকে স্থির হয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক ওই আসনে লড়বে। নতুন করে ওই আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্য ফরওয়ার্ড ব্লক রাজি করানোর সুযোগ মিলত না। তাই আপাতত হাত ছেড়েই উপভোটে বামেরা।
জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধে সাড়ে ৭ টা নাগাদ বিমান বসু নিজে ফোন করেন শুভঙ্কর সরকারকে। সেই সময় দেরির কথা বলেন বিমান। শুভঙ্কর সিতাই আসন চান। সূত্রের খবর, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, “আপনারা দেরি করে ফেলেছেন।”প্রদেশ সভাপতি মাদারিহাট আসন চান। দেরির কথাই বলেন বিমান। এরপর নৈহাটির আসন চাইলেও, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে ‘আর সম্ভব নয়’ উত্তর দেন বিমানবাবু।
প্রদেশ সভাপতি বলেন, “এই আসনগুলো আপনারা বরাবর লড়াই করে আসেন। আমরা ভেবেছিলাম আপনারা কথা বলবেন।” শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় যে কেউ কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করবে না। মিউচুয়াল ভাবেই ভোট লড়া হবে। এবার যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বলেন দু’পক্ষ। বিমান বলেন, “২০২৬ জোটের দরজা খোলা থাকছে।”
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আজ দুপুরে ওরা ফোন করেন। বিমান বসু ওদের ফোন করে বলেন সিতাই-এর আসন চাইছেন সেটা যদি আগে বলতেন…বললেন না! এখন তো ফাইনাল হয়ে গিয়েছে। তবে আমরা যাতে একসঙ্গে বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে চলতে পারি সেই বার্তা নিয়ে কংগ্রেসেও চলবে বামেরাও চলবে।”