Suvendu Adhikari: ‘মমতাকে জেতাতে আবেদন তিন পুলিশ কর্তার’, সরাসরি CEC-কে চিঠি লিখে নালিশ শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari On Police: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে এক জন সাব ইন্সপেক্টর, একজন ইন্সপেক্টর, আরেক জন এসইপি-র বক্তৃতার ক্লিপিংস সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবার এই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। এই বক্তব্যের মধ্যে তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। পুলিশ প্রতিষ্ঠানের সমস্ত মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন।

কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী করার ডাক! পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতাকেই মুখ্যমন্ত্রীর করার পক্ষে সওয়াল চার পুলিশ কর্তার! কিন্তু পুলিশকর্তা কীভাবে এমনটা বলতে পারেন? প্রশ্ন তুলে এবার রাজ্য পুলিশের একাংশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরাসরি সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে এক জন সাব ইন্সপেক্টর, একজন ইন্সপেক্টর, আরেক জন এসইপি পদমর্যাদার পুলিশ কর্তার বক্তৃতার ক্লিপিংস সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবার এই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। এই বক্তব্যের মধ্যে তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, এই সমস্ত “পুলিশ কর্মীরাই পুলিশ প্রতিষ্ঠানের সমস্ত মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন।”
যে তিন জনের বক্তৃতা তিনি সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরনে, তাঁরা হলেন ডিসিপি, কলকাতা পুলিশ শান্তনু সিনহা বিশ্বাস, এসআই রাহুল আমিন আলি শাহ, কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ রাউত। শুভেন্দুর দাবি, “পুলিশের ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যাঁরা সদস্য, তাঁদেরকে সরিয়ে নতুন করে নির্বাচন করতে হবে। কারণ এই সমস্ত আধিকারিকদের মনোভাব সকলের সামনে স্পষ্ট। ভোট তো গোপন বিষয়, সমর্থন আলাদা বিষয়। সরকারি প্ল্যাটফর্ম থেকে কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন!” CEC-কে লেখা চিঠিতে ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সরকারি গাইড লাইনও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।
কলকাতা পুলিশের ৩২৪ জন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ৫৯১ জন, মোট ৯১৫ জনের কথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, এই সমস্ত পুলিশকর্তাদের মধ্যে এমনও পুলিশ রয়েছেন, যাঁরা ইউনিফর্ম পরেন না।
নির্বাচন হতে এখনও মাস ছয়েক দেরি রয়েছে। তবুও এত তাড়াতাড়ি কেন কমিশনকে চিঠি! সে প্রশ্নেরও উত্তর নিজেই দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও সদস্যকে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রত্যাহার হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন ও নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে রাখা যাবে না। আমি তিন মাস আগেই নির্বাচন কমিশনকে জানালাম। তারা কী ব্যবস্থা নেবেন, সেটা তাঁদের ফুল বেঞ্চের ব্যাপার। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবেন কিনা, সে ব্যাপারে ভাববেন।”
শুভেন্দু বলেন, “পুলিশের কিছু কাজ রয়েছে, যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ নয়। অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ আনবেন কিনা, তারা যাতে এ বিষয়ে পরিকল্পনা করেন, তার জন্য জানানো। ফেব্রুয়ারি মাসে এমসিসি চালু হওয়ার পর এই বিষয়টা জানানো উচিত। কিন্তু তারা যাতে আগে থেকে পরিকল্পনা করতে পারে, তার জন্যই আগে জানানো।”
