Mahua Moitra: বিদেশে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ৮০ লক্ষ টাকার হিরের আংটি, মহুয়ার সম্পত্তি কত?

May 06, 2024 | 9:03 PM

Mahua Moitra: সাড়ে তিন কোটির বেশি অস্থাবর সম্পত্তি থাকলেও স্থাবর কোনও সম্পত্তি নেই মহুয়া মৈত্রের। বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষে বিদেশেই চাকরি করতেন। তারপর দেশে ফিরে কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন। বছর খানেক পরই তৃণমূলে আসেন।

Mahua Moitra: বিদেশে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ৮০ লক্ষ টাকার হিরের আংটি, মহুয়ার সম্পত্তি কত?
মহুয়া মৈত্রের মোট সম্পত্তি কত?

Follow Us

কলকাতা: বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। সেখানে চাকরিও করতেন। তারপর দেশে ফিরে কংগ্রেসে যোগদান। দল বদলে তৃণমূলে আসা। বিধায়ক হওয়া। আর উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতে সংসদে যাওয়া। কিন্তু, কয়েক মাস আগে টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। চব্বিশের নির্বাচনে ফের কৃষ্ণনগর থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এবারও এই আসনে ঘাসফুল ফোটাতে পারবেন মহুয়া মৈত্র? এই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের মধ্যেই নজর দেওয়া যাক তাঁর হলফনামায়। কত সম্পত্তি রয়েছে মহুয়ার? পড়াশোনাই বা কতদূর?

বছর উনপঞ্চাশের মহুয়া হলফনামায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়ের হিসেব দিয়েছেন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মহুয়ার আয় ছিল ১২ লক্ষ ৭ হাজার ৫৪১ টাকা। তার আগের অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ১১ লক্ষ ৮১ হাজার ৫৭৮ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৪০ টাকা আয় করেছিলেন মহুয়া। ৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০ টাকা আয় করেছিলেন ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে। আর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৮০ টাকা আয় করেছিলেন মহুয়া।

নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার সময় মহুয়ার হাতে নগদ ছিল ৫০ হাজার টাকা। একাধিক ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে মহুয়ার। কৃষ্ণনগর, কলকাতা এবং দিল্লির পাশাপাশি বিদেশেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর। লন্ডনে একটি ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। ওই অ্যাকাউন্টে তাঁর ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮৫০ টাকা রয়েছে। শেয়ার বাজারেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

মাহিন্দ্রা স্করপিও গাড়ি রয়েছে মহুয়ার। ২০১৬ সালে কিনেছিলেন। বর্তমানে গাড়িটির বাজারমূল্য ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের হিরের আংটি রয়েছে মহুয়ার। ৯ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার সোনার গয়নাও রয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর। এছাড়া আরও একাধিক মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে তাঁর। সবমিলিয়ে মহুয়ার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৬৬ টাকার।

স্থাবর কোনও সম্পত্তি তাঁর নেই বলে হলফনামায় জানিয়েছেন মহুয়া। ১৯৯৮ সালে ম্যাসাচুসেটসের মাউন্ট হলিওক কলেজ থেকে অর্থনীতি ও গণিতে স্নাতক হন তিনি। পড়াশোনা শেষে বিদেশেই চাকরি করতেন। ২০০৯ সালে দেশে ফিরে কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন। বছর খানেক পরই তৃণমূলে আসেন। তারপর ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে করিমপুর আসনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জয়ী হয়ে পা রাখেন বিধানসভায়। তিন বছর পর উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে তাঁকে প্রার্থী করেন মমতা। কিন্তু, চব্বিশের নির্বাচনের কয়েকমাস আগেই টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়। চব্বিশের নির্বাচনে জিতে ফের কি সংসদে পা রাখবেন মহুয়া? উত্তর পাওয়া যাবে ৪ জুন।

Next Article