কলকাতা: রাস্তার ধারে চেয়ারে বসেছিলেন। পাশে আরও দু’জন বসে। সামনে এসে থামল একটি বাইক। দু’জন আরোহী। আচমকা এক আরোহী এসে বন্দুক বের করে গুলি চালানোর চেষ্টা করল। কোনও সিনেমা নয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই দৃশ্য দেখা গেল কলকাতায়। শাসকদলের কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। এই ঘটনায় নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না তুললেও কাউন্সিলরের বক্তব্য, কসবার রাজনীতিতে দুবৃত্তায়ন ঢুকে গিয়েছে।
কসবার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর হামলার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যায়, নিজের বাড়ির সামনে বসে রয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। মোটরবাইক থেকে নেমেই এক যুবক সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, বন্দুক লক হয়ে যাওয়ায় গুলি চলেনি। এরপর মোটরবাইকে চেপে পালানোর চেষ্টা করলে সুশান্তর সঙ্গে থাকা একজন ওই দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করেন। একজন মোটরবাইক নিয়ে পালালেও অন্যজন ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে যুবক ধরা পড়েছে, তার বাড়ি বিহারে।
তাঁর উপর হামলা নিয়ে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এভাবে আক্রান্ত হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। আমি হতাশ। এই রাজনীতি আমার কসবা এলাকায় ছিল না।” ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে সুশান্তের বিরোধের কথা প্রায়ই সামনে আসে। এদিন সুশান্ত বলেন, “লিপিকা মান্না এই ঘটনায় জড়িত কি না, আমি বলতে চাই না। তবে কসবায় যে দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে সেটা তো পরিষ্কার।” জানা গিয়েছে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুশান্ত ঘোষকে ফোন করেছিলেন। মূল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশকে বলা হয়েছে বলে কাউন্সিলরকে জানান তিনি।
তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর হামলা নিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাংলায় আমরা উত্তর প্রদেশ, বিহারের সংস্কৃতি চলতে দেব না। সব আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানতে হবে। জনপ্রতিনিধি হোক না সাধারণ মানুষ, কারও উপর এমন হামলা মেনে নেওয়া হবে না। গ্রেফতার করতে হবে ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বিহার, উত্তর প্রদেশের সংস্কৃতি এখানে আসছে।”
কসবার তৃণমূল বিধায়ক জাভেদ খান এই হামলার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “যাকে ধরা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশকে জানতে হবে এই হামলার পিছনে কারা রয়েছে। যারা এর পিছনে রয়েছে, সবাইকে ধরতে হবে।”
কলকাতা: রাস্তার ধারে চেয়ারে বসেছিলেন। পাশে আরও দু’জন বসে। সামনে এসে থামল একটি বাইক। দু’জন আরোহী। আচমকা এক আরোহী এসে বন্দুক বের করে গুলি চালানোর চেষ্টা করল। কোনও সিনেমা নয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই দৃশ্য দেখা গেল কলকাতায়। শাসকদলের কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। এই ঘটনায় নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না তুললেও কাউন্সিলরের বক্তব্য, কসবার রাজনীতিতে দুবৃত্তায়ন ঢুকে গিয়েছে।
কসবার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর হামলার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যায়, নিজের বাড়ির সামনে বসে রয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। মোটরবাইক থেকে নেমেই এক যুবক সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, বন্দুক লক হয়ে যাওয়ায় গুলি চলেনি। এরপর মোটরবাইকে চেপে পালানোর চেষ্টা করলে সুশান্তর সঙ্গে থাকা একজন ওই দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা করেন। একজন মোটরবাইক নিয়ে পালালেও অন্যজন ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে যুবক ধরা পড়েছে, তার বাড়ি বিহারে।
তাঁর উপর হামলা নিয়ে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এভাবে আক্রান্ত হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। আমি হতাশ। এই রাজনীতি আমার কসবা এলাকায় ছিল না।” ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে সুশান্তের বিরোধের কথা প্রায়ই সামনে আসে। এদিন সুশান্ত বলেন, “লিপিকা মান্না এই ঘটনায় জড়িত কি না, আমি বলতে চাই না। তবে কসবায় যে দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে সেটা তো পরিষ্কার।” জানা গিয়েছে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুশান্ত ঘোষকে ফোন করেছিলেন। মূল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশকে বলা হয়েছে বলে কাউন্সিলরকে জানান তিনি।
তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর হামলা নিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাংলায় আমরা উত্তর প্রদেশ, বিহারের সংস্কৃতি চলতে দেব না। সব আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানতে হবে। জনপ্রতিনিধি হোক না সাধারণ মানুষ, কারও উপর এমন হামলা মেনে নেওয়া হবে না। গ্রেফতার করতে হবে ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বিহার, উত্তর প্রদেশের সংস্কৃতি এখানে আসছে।”
কসবার তৃণমূল বিধায়ক জাভেদ খান এই হামলার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “যাকে ধরা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশকে জানতে হবে এই হামলার পিছনে কারা রয়েছে। যারা এর পিছনে রয়েছে, সবাইকে ধরতে হবে।”