OMR Sheet Controversy: OMR শিট প্রকাশ্যে আসায় মানহানির অভিযোগ, হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূলের শিক্ষিকা-কাউন্সিলর

Calcutta High Court: মামলাকারী কুহেলি ঘোষের দাবি, তিনি নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাহলে তাঁর ওএমআর শিট জনসমক্ষে এনে কারচুপির তথ্য কেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী ওই তৃণমূল কাউন্সিলর।

OMR Sheet Controversy: OMR শিট প্রকাশ্যে আসায় মানহানির অভিযোগ, হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূলের শিক্ষিকা-কাউন্সিলর
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2023 | 4:33 PM

কলকাতা: ওএমআর শিট (OMR Sheet) প্রকাশ্যে আসায় মানহানি হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করলেন কুহেলি ঘোষ। তিনি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর (TMC Councillor)। মামলাকারী কুহেলি ঘোষের দাবি, তিনি নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাহলে তাঁর ওএমআর শিট জনসমক্ষে এনে কারচুপির তথ্য কেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। এর জন্য প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতেও তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে সিবিআই রিপোর্ট দেয়। সেই অনুযায়ী বিকৃত ওএমআর শিটগুলি জনসমক্ষে প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মামলাকারীরও। আর এই নিয়েই আপত্তি ওই কাউন্সিলরের। তিনি বলেন, “আমি ২৩ ডিসেম্বর জানতে পারি, পর্ষদের থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আমার নাম রয়েছে। সেই তালিকায় কেন আমার নাম আছে, তা সত্যিই আমার কাছে এখনও অজানা। আমি এম.এ, বি.এড। আমি আগে প্রাথমিকের শিক্ষক ছিলাম। সেই চাকরি ছেড়ে আমি নতুন কাজে যোগ দিই। আমরা যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম, ওএমআর শিটে কত পেয়েছি, বা ইন্টারভিউয়ে কত পেয়েছি… তা কখনোই জানানো হয়নি।” মামলাকারী কাউন্সিলেরর বক্তব্য, “আমাদের শুধু কোয়ালিফায়েড দেখানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নথি যাচাই, ইন্টারভিউ এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া মেনেই আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং এখন আমি চাকরি করছি।”

হাইকোর্ট চত্বরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সত্যি কী, তা সামনে আসা দরকার। সেই কারণেই আমি আজ আদালতে এসেছি। মামলা দায়ের করেছি। বিচারপতির উপর আমার বিশ্বাস আছে, ভরসা আছে। সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসুক। আমি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই।” তাঁর সাফ বক্তব্য, তিনি কেবল একজন পরীক্ষার্থী, তিনি পরীক্ষা দিয়েছেন। যিনি খাতা দেখেছেন, তাঁর দায় কত নম্বর দেবেন। বলছেন, “যখন পরীক্ষা হয়েছিল, ইন্টারভিউ হয়েছিল, তখনও আমি জানতে পারিনি আমি কত নম্বর পেয়েছি।”