মন্ত্রিত্বে অনিহা অভিষেকের, কবে থেকে শুরু হচ্ছে ‘মিশন ২০২৪’? জানালেন নিজেই

অভিষেক জানান, আগামী সময়ে তিনি কোন কোন রাজ্যে যাবেন সেটা একমাসের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

মন্ত্রিত্বে অনিহা অভিষেকের, কবে থেকে শুরু হচ্ছে 'মিশন ২০২৪'? জানালেন নিজেই
কেন ভ্যাকসিন পেলেন না বিজেপি কর্মী, কারণ দর্শাতে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলেন দলের নেতাকে। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 07, 2021 | 4:49 PM

কলকাতা: সর্বভারতীয় স্তরে দায়িত্ব পাওয়ার পর এই প্রথমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তোপসিয়ার তৃণমূল ভবনে সম্ভবত প্রথমবার অভিষেককে দেখা গেল তৃণমূলের মাদার সংগঠনের নেতৃত্বের ভূমিকায়। প্রবীণদের আর্শীবাদকে পাথেয় করেই নতুন উদ্যমে যে তিনি কাজে ঝাঁপাবেন তা স্পষ্ট করে দেন। একই সঙ্গে আগামিদিনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবরকম পদক্ষেপ করতে যে তিনি বদ্ধপরিকর, সেটাও জানা দ্বর্থ্যহীন ভঙ্গিমায়।

শনিবার মেগা বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে একটা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অভিষেক তৃণমূলের ‘সেকন্ড ম্যান’ কি না সেটাই কার্যত আলোচনার মুখ্য বিষয়বস্তুহয়ে উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যদি সেকেন্ড ম্যান কেউ হয় সেটা দলের কর্মীরাই।” পাশাপাশি অভিষেক জানান, আগামী সময়ে তিনি কোন কোন রাজ্যে যাবেন সেটা একমাসের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোন কোন রাজ্যে তৃণমূল প্রভাব বিস্তার করার কাজ শুরু করবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতাই। অভিষেকের সাফ কথা, “শুধু ভোট বাড়াতে যাব না। রাজ্য জয় করতে যাব।”

নাম না করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানায় নেন তিনি। আক্রমণের সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, “গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করুন। পরশুদিনও দেখলাম যে ৪০ লক্ষ বাঙালি বাইরে থাকে, পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে, এসব ব্যক্ত রেখেছে। দিল্লির চাটুকারিতা করতে গিয়ে এতটা নীচে নেমেছে যে এরকম কথা বলছে।”

আরও পড়ুন: ‘ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা না বলে ভিতরে বৈঠক?’, ফের দিলীপ ঘোষকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

একই সঙ্গে বিরোধীরা অভিষেককে যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করার চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে তুলুক না কেন, এ দিন তিনি সেই সব সম্ভাবনার কথা সমূলে উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। অভিষেকের সাফ কথা, “আগামী ২০ বছর আমি মন্ত্রিত্ব থেকে দূরে থাকবো।” একই সঙ্গে বিজেপির তোলা পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিতে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “আপনারা আইন করুন যে এক পরিবার থেকে একজনই রাজনীতি করতে পারবেন। জয় শাহ কি বলতে পারবেন যে বিসিসিআই থেকে সরে দাঁড়াবে!”

আরও পড়ুন: ‘২০২৪-এ খেলা হবে’, যুব সভানেত্রী হিসেবে প্রথম দিন অফিসে গিয়ে বললেন সায়নী