কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় একজন ‘অসাধারণ অকমর্ণ্য ব্যক্তিত্ব’। মুখ্যমন্ত্রীর তোলা সমস্ত অভিযোগ রাজ্যপাল খারিজ করার পরই পালটা এই ভাষাতে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। ৩০ বছর পুরনো মামলায় রাজ্যপাল দাবি করেছেন তাঁর নাম চার্জশিটে ছিল না। সেই সাফাইকে ‘অর্ধসত্য’ বলে দাবি করে সুখেন্দুর খোঁচা, “উনি কিন্তু একবারও কোথাও বললেন না যে ওনার নাম অভিযুক্ত হিসেবে ছিল কি না।” একই সঙ্গে রাজ্যপালের দার্জিলিং সফর ‘বঙ্গবঙ্গের একপ্রকার ষড়যন্ত্র’ ছিল বলেই সোমবার দাবি করেছে তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, রাজ্যপালের নাম জৈন হাওয়ালা মামলার চার্জশিটে ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন সুখেন্দু। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের যে ৩ বিচারপতির বেঞ্চে এই হাওয়ালা মামলা ছিল, “তাঁরা কিন্তু বলেছিলেন তাঁদের উপর প্রচণ্ড চাপ আসছে মামলা ছেড়ে দেওয়ার জন্য।” আগামিকাল এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও তথ্য প্রকাশ্যে আনা হবে বলে জানান শুখেন্দু।
রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান যে যে বিষয়গুলি নিয়ে সোমবার রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানায় নিয়েছেন, প্রত্যেকটি আক্রমণের বেছে বেছে জবাব দেন সুখেন্দু। রাজ্যপালকে ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলে কটাক্ষ করে সাংসদ বলেন, “রাজ্যপাল যেভাবে রাজনৈতিক প্রভুদের ডাকে দিল্লি গেলেন, এবং দিল্লি থেকে ফিরে এসে বৃষ্টির মধ্যে দার্জিলিং গেলেন, তাতে পরিষ্কার উনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে দেখা করে ষড়যন্ত্র করছেন। দার্জিলিং গিয়ে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করে উনি বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছেন।”
আরও পড়ুন: ‘জৈন হাওয়ালা মামলার চার্জশিটে আমার নাম নয়, যশবন্ত সিনহার নাম ছিল’, পাল্টা বিস্ফোরক ধনখড়
রাজ্যপাল দাবি করেছেন, জিটিএ নিয়ে দার্জিলিঙে তাঁর সঙ্গে এসে দেখা করে নালিশ জানিয়েছিল বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ঠিক কোন কোন সংগঠন এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে কী অভিযোগ জানিয়েছিল, সেই তথ্য সবিস্তারে প্রকাশ্যে আনতে বলেন তৃণমূল নেতা। একই সঙ্গে জিটিএ নিয়ে ক্যাগ তদন্ত চাওয়ার এক্তিয়ারও রাজ্যপালের নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। বরং মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে তাঁর কথোপকথন বারংবার প্রকাশ্যে এনে রাজ্যপাল সংবিধান ভঙ্গ করছেন বলেও দাবি তুলেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ‘উনি দুর্নীতিগ্রস্ত লোক, জৈন হাওয়ালা কেসের চার্জশিটে নাম ছিল’, ধনখড়কে তীব্র আক্রমণ মমতার