‘জৈন হাওয়ালা মামলার চার্জশিটে আমার নাম নয়, যশবন্ত সিনহার নাম ছিল’, পাল্টা বিস্ফোরক ধনখড়

Jagdeep Dhankhar: আমার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ গুরুতর। এটা অত্যন্ত দু্র্ভাগ্যজনক, বললেন রাজ্যপাল।

'জৈন হাওয়ালা মামলার চার্জশিটে আমার নাম নয়, যশবন্ত সিনহার নাম ছিল', পাল্টা বিস্ফোরক ধনখড়
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 28, 2021 | 7:56 PM

কলকাতা: জৈন হাওয়ালা মামলা নিয়ে ফের তুঙ্গে রাজ্য-রাজভবন তরজা। সোমবার বিকেলেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ‘দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। জৈন হাওয়ালা কেসের চার্জশিটে তাঁর নাম রয়েছে।’ তার জবাবি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল। সেখানে পাল্টা তাঁর দাবি, হাওয়ালা চার্জশিটে জগদীপ ধনখড় নয় নাম ছিল যশবন্ত সিনহার। যিনি পরে মুক্ত হন। কিন্তু তাঁর নাম চার্জশিটে ছিল না। এখনও অবধি কেউ এই ঘটনায় দোষীও প্রমাণিত হননি। ধনখড়ের দাবি, নিছক চাঞ্চল্য তৈরি করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য।

এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি করতে করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। হাওয়ালা চার্জশিটে আমার নাম নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণও নেই। মানুষের সামনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। এটা আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আশা করিনি।”

১৯৯৬ সাল। কেন্দ্রে তখন নরসিমা রাওয়ের সরকার। সেই সময় হাওয়ালা কারবারের কথা প্রকাশ্যে আসে। দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। দেশের তাবড় নেতা মন্ত্রীর নাম জড়ায় এই কেলেঙ্কারিতে। সেই ঘটনায় উঠে এসেছিল তৎকালীন জনতা দলের সাংসদ জগদীপ ধনখড়ের নামও। যদিও এখনও অবধি অভিযুক্তের তালিকা দীর্ঘ হলেও দোষী প্রমাণিত হননি কেউই। তবে সোমবার নবান্নে আচমকাই রাজ্যপাল প্রসঙ্গ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ফোরক দাবি করেন। মমতা বলেন, “হি ইজ আ কোরাপ্টেড ম্যান (উনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ)। এই গভর্নরের নাম জৈন হাওয়ালা কেসেও ছিল। এখনও পিআইএল রয়েছে। এখনও এর চূড়ান্ত শুনানি হয়নি। আর কী জানার আছে!”

আরও পড়ুন: ‘উনি দুর্নীতিগ্রস্ত লোক, জৈন হাওয়ালা কেসের চার্জশিটে নাম ছিল’, ধনখড়কে তীব্র আক্রমণ মমতার

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই টুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, তিনি রাজভবনে সাড়ে ৬টায় সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, চার্জশিটে তাঁর নাম থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। খনখড়ের বক্তব্য, “সেখানে অজিত পাঁজা, যশবন্ত সিনহার নাম ছিল। যদিও পরে তাঁরা দু’জনই মুক্ত হন।” বরং তাঁর দাবি, উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফেরার পরই তিনি বিধানসভা অধিবেশনের খসড়া হাতে পান। যা তাঁকে আগামী ২ জুলাই অধিবেশনের শুরুতে পড়তে হবে। তা নিয়ে তিনি দ্বিমত পোষণ করাতেই এই ধরনের কথা উঠছে।

জগদীপ ধনখড়ের কথায়, “বিধানসভা অধিবেশন-ভাষণের খসড়া পেয়েছি। সেখানে যা লেখা রয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। এরপরই খসড়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখি। কোনও কিছু নিয়ে আশঙ্কা থাকলে তা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই রাজ্যপালের কাজ। চিঠি দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন আসে। তিনি বলেন, এ খসড়া মন্ত্রিসভার অনুমোদিত।” এরপরই এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাওয়ালা প্রসঙ্গের উত্থাপন বলে দাবি রাজ্যপালের।