কলকাতা: মহালয়ার দিন তাঁর ‘আগমনী: তিলোত্তমাদের গল্প’ শর্টফিল্ম মুক্তি পাওয়ার কথা। আর এই শর্টফিল্ম ঘিরে শাসকদলের ছাত্র পরিষদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে। রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতির পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। এই আবহে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করলেন শর্টফিল্মটির পরিচালক প্রান্তিক চক্রবর্তী। কয়েকদিন আগেও যিনি TMCP-র সহ-সভাপতি ছিলেন।
ওই শর্টফিল্মে অভিনয় করেছেন রাজন্যা হালদার। তিনি যাদবপুর-ডায়মন্ডহারবার জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। প্রান্তিকের পাশাপাশি তাঁকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। দুই জনকে সাসপেন্ড করার পর টিএমসিপি-র সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, “একটি ছবিকে ঘিরে বিতর্ক হচ্ছে। অনেকে মনে করছে, তৃণমূল দল বা তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের তরফে করা। দল স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছে, এর সঙ্গে দল যুক্ত নয়। যেহেতু ওই দু’জন ওই শর্টফিল্মের সঙ্গে যুক্ত। তাই সাসপেন্ড করা হয়েছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বিষয়টা দেখছে। তবে এই শর্ট ফিল্ম নিয়ে দল কিছু জানত না।”
প্রান্তিক ও রাজন্যাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন কুণাল ঘোষও। তিনি লিখেছিলেন, “আরজিকর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি শর্টফিল্মের খবর এসেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা তিলোত্তমার ঘটনার ন্যায়বিচার চাই। এই স্পর্শকাতর বিষয়কে প্রচারে ব্যবহার করার চেষ্টার আমরা বিরোধী।”
সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্ব চায় না, এই আবহে শর্টফিল্মটি মুক্তি পাক। এই নিয়ে রাজন্যা ও প্রান্তিককে বার্তাও দেওয়া হয়েছে। তারপরই এদিন প্রান্তিকের সঙ্গে বৈঠক করেন কুণাল। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতৃত্ব যে শর্টফিল্মটি এখন মুক্তির পক্ষে নয়, সেই বার্তা নিয়ে প্রান্তিকের সঙ্গে আলোচনা করেন তৃণমূল মুখপাত্র। শর্টফিল্মটি মুক্তি পাওয়ার কথা ২ অক্টোবর। মাঝে আর ২ দিন সময়। কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পর কি শর্টফিল্মের মুক্তির তারিখ পিছনোর কথা ভাবছেন পরিচালক? জানা গিয়েছে, সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন প্রান্তিক।
প্রান্তিকের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে চাইলেন না কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রান্তিক ঘোষ আমার পরিচিত। ছাত্র রাজনীতি করে। দেখা হল, কথা হল। এর বাইরে এই মুহূর্তে একটা কথাও বলব না।” শর্টফিল্মটি মুক্তি নিয়ে কুণাল বলেন, “এটা ওদের বিষয়।”