কলকাতা: ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেছিলেন, ঝাড়খণ্ড সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে। বাংলাতেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, বাংলায় রোজ কমপক্ষে ১০০ অনুপ্রবেশকারী ঢোকে। আর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অনুপ্রবেশে সাহায্য করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু ত্রিপুরায় ৬ বাংলাদেশি নাগরিকের আটক হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার ত্রিপুরার খোয়াইয়ে একটি গেস্ট হাউস থেকে ৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে পুলিশ। তার মধ্যে ২ জন নাবালক। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মাসখানেক আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে তারা। কাজের খোঁজে দিল্লিও গিয়েছিল। অবৈধভাবে আধার, প্যান কার্ড তৈরি করেছে।”
শুভেন্দু আরও লেখেন, মাসখানেক আগে দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। তারপরই ওই ৬ জন দিল্লি ছেড়ে ফের ত্রিপুরা ফিরে আসে। তারা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার আগেই ত্রিপুরার পুলিশ গ্রেফতার করে। শুভেন্দু জানান, গত ৫ মাসে বিএসএফ ছাড়াও ত্রিপুরা পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ ৫৭০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩০ জনের বেশি রোহিঙ্গাকে।
Six Bangladesh nationals, including two minors, were detained at Subhas Park in Tripura’s Khowai district on Friday.
Acting on a tip-off, Police raided a guest house and found that the six Bangladeshis were staying there.
During preliminary interrogation, they made contradictory… pic.twitter.com/3UVABIrRZD— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) December 21, 2024
দুটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন শুভেন্দু। তার মধ্যে একটি ত্রিপুরার বাংলাদেশি নাগরিকদের আটকের। অন্য ভিডিয়োটি বাংলার জানিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে স্বরূপনগর-হাকিমপুর সীমান্তের ভিডিয়ো দেখুন। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা রোজ কমপক্ষে ১০০ জন অনুপ্রবেশকারীকে অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে।” তিনি জানান, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪২ কিমি সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ৩২ কিমি স্থলভাগ সীমান্ত। আর ১০ কিমি জলভাগ সীমান্ত। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমি না দেওয়ায় ওই সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া যাচ্ছে না।