TMC Spokesperson: তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রের তালিকায় আরও তিন নেতা, কার কার দায়িত্ব বাড়ছে?
TMC : দলের জাতীয় মুখপাত্রের তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে আরও তিন নেতার নাম। তালিকায় নতুন সংযোজন হচ্ছে যে তিন জনের নাম, তাঁরা হলেন বাবুল সুপ্রিয়, কীর্তি আজাদ এবং মুকুল সাংমা।
কলকাতা : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তারের দিকে মন দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে একটু একটু করে ডালপালা মেলতে শুরু করেছে মমতার দল। আর এরই মধ্যে আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। দলের জাতীয় মুখপাত্রের তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে আরও তিন নেতার নাম। তালিকায় নতুন সংযোজন হচ্ছে যে তিন জনের নাম, তাঁরা হলেন বাবুল সুপ্রিয়, কীর্তি আজাদ এবং মুকুল সাংমা। যদিও দলের তরফে এখনও পর্যন্ত তিন নেতার দায়িত্ব বৃদ্ধির বিষয়টি ঘোষণা করা হয়নি। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই ঘোষণা করা হবে। জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার যে চেষ্টা চলছে, সেই পরিস্থিতিতে দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে এই তিন নেতার নাম সংযোজন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বাবুল সুপ্রিয়র শিল্পী হিসেবে জাতীয় স্তরে খ্যাতি তো রয়েছেই, তার উপর দীর্ঘদিন মোদী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন বাবুল। ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সাল দুই বারই মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। পরে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয় বাবুলকে। আর মন্ত্রিত্ব হারানোর কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ। সাংসদ পদও ত্যাগ করেন। এখন তিনি বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক। এবার বাবুল সুপ্রিয়কে আরও দায়িত্ব দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে দলের জাতীয় মুখপাত্র করা হচ্ছে।
কীর্তি আজাদেরও রাজনীতির বাইরে গোটা ভারতে পরিচিতি রয়েছে। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন কীর্তি আজাদ। গতবছরই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিয়েছেন। তবে অতীতে রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে। তৃণমূলে নাম লেখানোর আগে কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয় শিবিরের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন তিনি।
মুকুল সাংমাও ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল শিবিরে। মেঘালয় বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬০। সেখানে মুকুল সাংমা হঠাৎ করে ১২ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এক লাফে তৃণমূলের ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল সেই রাজ্যে। এমন পরিস্থিতিতে মুকুল সাংমাকে তৃণমূলে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।